পোস্টস

কবিতা

প্রলেতারিয়েতের প্রতি

৮ জুলাই ২০২৪

মিলু

মূল লেখক কৌশিক মজুমদার শুভ

অনেক তো কাটাইলা ঘরে, কেমন ফিল হয় তোমাগো? ভালো লাগে মাংসের গন্ধ, বগলের চুলকানি? ভালো লাগে আধপোড়া শহর? ভালো লাগে এই আজব গন্ধ যা স্টোম্যাকের ভিতর চাড়া দিয়া উইঠা চিল্লাইতেছে জারজ! জারজ! তোমারা কেমনে ঠান্ডা থাকো? কেমনে চান দেইখা শুইয়া থাকো? ক্যামনে ক্যালাও- তোমাগো শরীরে কি ব্যঙের রক্ত?

তোমরা নিজেগো উপর চিল্লাও, নিজেরা লাগাও, অল্পতেই একে অন্যেরে স্যাটায় বাঁশ দিতে চাও- অথচ যারা, এই যারা তোমাগো ভাত চুরি কইরা বানাইতেছে দ্যাখো প্রাসাদ, ইটের সঙ্গমে করতেছে ইমারত, যাদের জন্য চড়তেছো ইমারত, আবার পড়তেছো সেইখান থিকা, তাদের তোমরা করতেছো সালাম! তাগো দেখলেই জিহ্বায় পড়তেছে কড়া, কুকুরের মতো শরীরে প্রভূত্বের হরমোন নিয়া মানুষের মতো আছো।

তোমাগোই সামনে দ্যাখো ভাঙতেছে তোমাগো ঘর, শীতের ইথারে পোলাপান নিয়া বাঁচতেছো ক্যামন। দ্যাখো তোমারই সামনে নেভীব্লু গাড়িগুলান টহল দিতেছে, যখন তখন তুইল্লা নিয়া যাইতেছে স্বজন। তোমাগো সামনেই কেমন ঘুরতেছে হায়না, লান্ছিত হইতেছে মা বুইন, আল্লার কাছেও বিচার নাই।

সবাই মারতেছে তোমাগো হক। তোমাগো জীবন চুরি হইয়া যায়, ভোট ছিনতাই হইয়া যায়, তোমরা চুপচাপ- চিল্লাইতেছো না ক্যান বোকাচোদা? তোমাগো প্যাটে হরতাল অথচ শহরে কারফিউর ভয়ে বইসা আছো ঘরে। মিছিলে তোমাগো পাওয়া যাইতেছে না, স্লোগানে তোমরা চিল্লাইতেছো না, তোমাগো কোনো দাবিদাওয়া নাই, চাহিদা নাই, প্রতিবাদ নাই, অন্তত ঘর পোড়ানোর অভিশাপ দিতেও তোমরা ভুইলা গেছো। উপাসী প্যাটে আফিংখোরের মতো ঝিমাইতেছো কেবল। তোমাগো দিয়া আর কিছু হইতো না। তোমরা থাকো ঘরে, আমি ভাত খাইয়া ফ্যাসিস্ট চুদতে গেলাম।