রবিবার আসলে তোমারে হালকা কইরা মনে পড়ে~হারাইয়া যাওয়া কবিতাগুলারে যেমন অস্পষ্ট মনে হয়। এইভাবে স্মৃতি কোপাইয়া খুঁড়ছি যেটা দেখি আমারই কবর; লাশের লোবানে মনে হয় উপচাইয়া পড়তেছে কাতর শরাবের স্মেল।
জানি লাভ নাই তবু~ শীতের রাত্তিরে কম্বলে ফিসফাস শুনি, একটা থার্মোকল কাপ একলা বইসা আছে বেঞ্চের পাড়ে দেখি~ সিগারেট পুইড়া চোখ কালা হৈয়া আসতাছে~ মনে হইতেছে তোমারে~ দূরবীক্ষণে কাঁপতেছে সূদূর মিনার~ টেলিফোনের তার ধইরা দাঁড়াইয়া আছে পোস্টম্যান~ বারান্দায় উড়তেছে হাত~ ঠান্ডায় কারা দুইজন মাঠের ঘাসে হাত ধইরা হাঁটতেছে। টনসিল দুখতেছে~ প্যালেট অসম্ভব লালচে~ দুনিয়া ছোটো হইয়া আসতেছে গলার মতোন~ মনে পইড়া যায় শৈশবের কয়েক ঘরের নামতা~ কোরাসের সুরে আমরা পড়তেছি, রাত জাইগা জাইগা এস্ট্রের মতো কালচেটে হইয়া আসতেছে সন্ধ্যাগুলা~ কোথায় বিসমিল্লাহ খানের সানাই খুব বাজতেছে~ জানি লাভ নাই তবু তোমারে মনে পইড়া যাইতেছে কেবল।