সকাল থেকে বুলেটটা মগজের মধ্যে নড়চড় করে যাচ্ছে
চিৎকারেও বেরুচ্ছেনা আওয়াজ, একটা শব্দও পাচ্ছিনা কানে,
আঘাতটা মাথায় নাকি বুকে তা বুঝতেই আজান শোনা গেলো
কিসের আজান তাও বোঝা যাচ্ছেনা।
বুক থেকে ঝরঝর করে রক্ত ঝরে যাচ্ছে
ভেজা শার্টেও দেখা যাচ্ছে পুরনো রক্তের দাগ_
তবে কি এর আগেও_?
ভাবতে ভাবতেই, তোমার মুখটা দেখা গেলো অশ্বত্থের ছায়ায়,
শেষবার যেবার দেখেছিলাম;
তোমার হাতে ছিলো হেমলকের পানপাত্র,
আমার চোখে ছিলো তোমার নেশা
চোখে মুখে আমার রক্ত ঝরছিলো অবিরাম,
তবু তোমার অধরা অধরের লোভে.....
কিন্তু আমার মগজের মধ্যে যে বুলেটটা
আর বুকে রক্তে ভেজা যে ক্ষতটা_কই থেকে এলো?
অমন নিকষ অন্ধকারে তুমিই বা কি করো?
উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা; উত্তর পাওয়া যায়নি তোমারও।
অশ্বথ গাছটা আর দেখা যাচ্ছেনা
SSএকটা দেবদারু গাছে ডেকে যাচ্ছে কাকাতুয়ার দল,
তোমাকে দেখা যাচ্ছেনা, বুলেটও পাওয়া যাচ্ছেনা,
বুকের ক্ষতর জায়গায় একটা অসহ্য ব্যাথা,
তোমাকে দেখার নাকি হারিয়ে ফেলার_
কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা।
শুধু শোনা যাচ্ছে মুয়াজ্জিনের আজানের ডাক,
শব্দটা বাড়ছে, ক্রমশ ভারী হচ্ছে আওয়াজ
আড়মোড়া দিয়ে উঠতেই সব অন্ধকার!
ঘড়িতে এখন পাঁচটা বেজে পঁয়ত্রিশ মিনিট
ফজরের আজান শেষ হয়ে বেশ খানিকক্ষণ,
সিগারেটে আগুন দিতে দিতে মনে হলো;
কী দুঃস্বপ্ন! কী দুঃস্বপ্ন!!