পোস্টস

পোস্ট

ইদানিং

৯ জুলাই ২০২৪

সাজিদ রহমান

মূল লেখক সাজিদ রহমান

সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ফেসবুক। আমি এক্স (টুইটার), ইন্সটাগ্রাম বা আরও কিছু মাধ্যম আছে সেসব ব্যবহার করিনা। তবে সেখানেও খুব বেশি ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। এই ফেসবুক দূরের মানুষকে যতটুকু কাছে এনেছে, কাছের ও দূরের সকল মানুষের মাঝে বিভেদের দেয়ালও তূলে দিচ্ছে।

 

সেই দেয়াল হিং*সার। 
সেই বিভেদ ঘৃ*ণার।
কখনও অশান্তির।  
জ্ঞানের নামে অপজ্ঞানের।  
সর্বোপরী কুপমন্ডকতার।

 

অনেক দিন ধরে খেয়াল করছি। এদের অনেকেই অনেক পেশার সাথে জড়িত। এরা সবাই স্বঘোষিত জ্ঞানী। এরা বিজ্ঞান চেটেপুটে খান, এদের হাগার মধ্যেও জ্ঞানের গন্ধ থাকে। এদের কেউ কেউ হয়ত কিছু  আঁকেন। আর ভাবেন দুনিয়ার সবচেয়ে জরুরী কাজটা করছেন। কেউবা হয়ত ২/৪টা গল্প কবিতা লেখার চেষ্টা করেন। ভাবেন তাঁরা না থাকলে দুনিয়াটা ধ্বং*সের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যেত এতদিনে। বাকিদের অনেকেই হয়ত অন্য কিছু করেন। এঁরা দিনে যা যা করেন, রাতে যা যা ভাবেন, তাই অনন্য জ্ঞানে পরিণত হয়! সেই জ্ঞান তাঁদের পেটের মধ্যে উলটপালট করতে থাকে। গিজগিজ করে, উপচায়ে পড়ে। এরপর বেশ একটা ভাব ধরেন। যেন অনেক পড়ে পড়ে সারা জাহান উল্টায়ে দিছে। যেন এ যুগের বিদ্যাসাগর হয়ে গেছেন। অনেক জানেন, আর সেই জানার ঠেলায় দিনের সুর্য, রাতের চাঁদও লজ্জা পেতে থাকে! পেটে বিদ্যার ভারে ধরণী কাঁপতে থাকে। ফাটতে থাকে। সেই ভারে ধরণী যেকোন সময় দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়বে!

এরপর সেই ধরণী কাঁপানো জ্ঞান উগলিয়ে দেন। 
জ্ঞান বমি করেন।


জ্ঞান না হোক, বমির মালমসলা চারিদিকে ছড়াতে থাকে। দুর্গন্ধ সহ।  

এদের একটা গোষ্ঠী আছে। সিন্ডিকেটে চলে। এরা সিন্ডিকেটের একজন আরেকজনের প্রশংসা করে। ওদের সাথে যাদের যায় না, তাঁদের হেয় করবে। তাঁদের জন্মই বৃথা সেটা প্রমাণ করতে আদা জল খেয়ে, লুঙ্গি (যদিও তাঁরা লুঙ্গি পরাকে মফিজি ভাবে) কাঁচা দিয়ে নেমে পড়বে। বাহ্যত মনে হবে এরা পরোপকারী, মানুষের প্রতি প্রেম ছাড়া জীবনে কিছুই ভাবে না। সাধারণ মানুষ তাঁদের বিশ্বাস করতে শুরু করে। ভাবে তাঁদের অসহায়ত্ব দুর করবে। তাঁদের বঞ্চনা ঘুচিয়ে দিবে। তাঁদের ভালোর জন্য ওরা জীবন বাজি রাখবে। এরপর তারা মুখোশের ভিতর থেকে বের হয়ে আসতে থাকে। ভেলকিবাজি শুরু হয়। ভেল্কিবাজি চলতে থাকে।  

 

এঁরা আদতে  তাঁদের অন্তরে থাকা হিং*সা ছড়াতে শুরু করেন। 
তিনি যা হতে পারেন নি, প্রথমে সেখানে আঘাত করেন। 
সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন।
নিজে যত অপকর্মে জড়িত থাকেন, অন্যদের তার চেয়েও নিকৃষ্ট ভাবেন। 
তাঁর কথায় কাজে সেটার গন্ধ বের হতে থাকে।

 

এঁরা সাধারণ জনগণকে ভোঁদাই ভাবেন। লবণকে চিনি বলে চালাতে চান। কিন্তু একটা সময় মানুষ ঠিকই তাঁদের ভিতরের শয়তানের খোঁজ পেয়ে যায়। ভিতরের নোংরামি দেখে ফেলে।

এরপর জনগণই তাঁদের ঘৃ*ণা করতে থাকে। তাদের মতলব দেখে হাসতে থাকে। সহজ মনে মাফ করে দেয়। সেই বেহায়ারা সেটাও বুঝেনা।  সুযোগ পেলেই আবার সেই আকাম শুরু করে।

এঁরা কারা? এটা বোঝার জন্য, সেই মুখোশধারীদের চেনার জন্য বেশি দুরে যেতে হবেনা। ওরা আমার, আপনার আশেপাশেই আছে। আশেপাশেই থাকে। একটু খেয়াল করলেই চিনতে পারবেন। এরপর মন থেকে ঘৃ*ণা করে যেতে হবে।

না হলে তাদের অন্তরের ভিতরে বিষ মাখা ঘৃ*ণা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিবে।