বয়স আর কত হলো এখন,
এইতো তিন যুগ পার করলাম সবে
না হয় একটু বেশি বা কম।
এখনো জীবন চলে হেসে খেলে।
পার্থক্য শুধু এটুকুই যা -
এখন আর সেই হাসি দেখে কেউ হয় না পাগল
মিষ্টি করে বলে না কেউ, অপূর্ব তোমার হাসি ।
এখনো হাসলে টোল পড়ে গালে,
কিন্তু এখন আর কেউ তা দেখে না ।
চুল দেখে কেউ হারায় না দিশা ।
বলে না কেউ-
জীবনানন্দের বনলতা,
এতো দিন কোথায় ছিলেন।
খোলা চুল এখনো দখিনা বাতাসে উড়াই
কিন্তু এখন যেন তা মেঘ কালো নয়,
কাক কালো।
এক পলক দেখার জন্য আমায়,
যুবকেরা আর ছুটে আসে না-
নানান অজু হাতে; আমার বাড়ির আশপাশে।
তীর্থের কাকের মতো; কেউ বসে থাকে না,
আমার আশা যাওয়ার পথে বা স্কুলের পাশে।
কাঁপা হাতে কেউ দেয়না, গোলাপ পাপড়ি সহ,
রক্ত খচিত অক্ষরে;নীল খামে চিঠি
ভীরু কণ্ঠে বলে না আর ভা…লো...বা…সি ।
আমায় নিয়ে আর স্বপ্ন দেখেনা-
গুজবে গোলাপ খোপার চুলে।
কেউ আর ছুঁতে চায় না, পদ্ম খচিত হাত, গোলাপি গাল।
চুমু খেতে চায় না কেউ রাঙা ঠোঁটে।
শুনেনা কেউ আলতা পায়ের নুপুরের নিক্কন।
আমি তো সেই আমি, নামটা ও তাই আছে,
থাকি ও একই এলাকায়, আছে সব যুবকেরা ও
শুধু জীবন থেকে চলে গেছে কিছু কাল
হারিয়ে যায়নি কিছু, ই
এখনো লজ্জায় পুলক লাগে গালে।
পার্থক্য শুধু এই যা
এখন আর তা দেখে হয় না কেউ কবি; লিখে না কবিতা।
এটা যেন হলো অভিশাপ,
ত্বকে পড়েছে ভাজ।
কপাল মাঝে চিন্তা রেখা,
মুখে বয়সের ছাপ।