নন্দিতা প্রিয়তমা আমার,
মনের বদ্ধ কুঠুরিতে
রক্ত মমাংসের দেয়ালে
এখন বারবার প্রতিধ্বনি হয়,
কেমন আছো তুমি?
কতদিন দেখা হয় না,
কথা হয় না,
হয় না চৌপথির মোরে
সেই ভাংগা দোকানে বসে
মিষ্টি চা পান করা।
প্রিয়তমা তোমার মনে পড়ে?
কোন এক বৃষ্টি দিনে,
রিক্সার হুট নামিয়ে
বর্ষা খেলায় মেতেছিলাম,
ভিঁজেছিলাম সারাটি পিচঢালা পথে।
বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে
নৃত্য করেছিল দেহমন।
তারপর, তারপর তোমার সে কি জ্বর!
জ্বরের ঘোরে নাকি প্রলাপ বকতে তুমি,
আমি পাশে নেই বলে।
কি দুঃশ্চিন্তায় পড়েছিলাম,
সারারাত না ঘুমিয়ে
কাটিয়ে দিয়েছি তোমার কথা ভেবে।
পরদিন ঘুম ভেঙে আমার
রক্ত লাল চোখদুটো দেখে বলেছিলে
" ঘুমাও নি কেন?"
বলেছিলাম - "বড় ভালোবাসি যে।"
প্রিয়তমা তোমার মনে পড়ে
ক্যাম্পাসে বন্ধুদের ফাঁকি দিয়ে,
বৃন্ধাবনে কতদিন ঝালমুড়ি আর
চটপটি খেয়ে কেটেছে সকাল সন্ধ্যে।
কেমন করে যে সময়গুলো কেটে যেতো,
সূর্যিমামা সারাদিনের ক্লান্ত দেহে
কখন যে পশ্চিম আকাশে নেতিয়ে পড়তো
খেয়ালই হতো না।
হুম সন্ধ্যে বেলা বাড়ি ফিরতে
চাইতে না তুমি,
তোমার সে কি অভিমান,
আরও থাকা চাই চাই।
এক প্রকার জোড় করেই
পাঠিয়ে দিতাম তোমায়।
আমার কি আর ভালো লাগতো
তোমায় ছাড়া।
রাত্রিটা কাটাতাম কোন রকমে
নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্ব নিয়ে,
প্রহর গুনতাম কখন সকাল হবে?
কখন পাবো দেখা তোমার।