তোমাকে বারবার চেয়েছি বলেই তুমি আমাকে কেমন সস্তা সস্তা ভাবো। অথচ, পুরো পৃথিবী আমাকে চেয়ে পায়নি। আমি কারোরই হইনি, এমনকি নিজেরও না। আমি আমাকে ছাইভস্ম করে উড়িয়ে দিয়েছি হাওয়ায় হাওয়ায়। হাহাহা। ভাবছো ফালতু প্রলাপ বকছি? নিজের ভালোতো পাগলেও চায়! অথচ কি আশ্চর্য, আমি চাইনি!
মৃত্যু আমার দোরগোড়ায়, আমি সাপ-লুডু খেলেছি মৃত্যুদূতের সাথে। তার ঠোঁটে চেপে ধরেছি জ্বলন্ত সিগারেট। মদের বোতল ঠুকে রক্তাক্ত করেছি তার কপাল। শরীরের নিউরন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। পায়ের তালু থেকে মাথার মগজ পর্যন্ত ছোটাছুটি করেছে লোহিত রক্ত কণিকার দল। আমার স্পর্ধা দেখে কটাক্ষ করেছে মধ্য গগনের সূর্য, শামিয়ানা টাঙিয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে দ্বাদশী চাঁদ। বিমূর্ত হয়ে চেয়ে থেকেছে দুটি শেফালী ফুল। হুট করে মরে গেছে - বাড়ন্ত বালিকার আধ খাওয়া নখ। হাহাহা।
অবাক হচ্ছো? তোমাকে বেশি ভালোবেসেছি বলেই কেমন আমাকে সস্তা সস্তা ভাবো। অথচ এখনও আমার কোলে এসে ঘুমায় যাদুকাটা নদী, ধবধবে বক আর একটি শোকাহত এপিটাফ। আমি বাউন্ডুলে রাতচরা পাখির মতোন ত্রাহি চোখে আজন্মকাল আমাকে খুঁজি।
খুঁজি দুটি খালি পা, ভোরের শিশির, মর্মর শুকনো পাতা, লাল শাক ভাজি, চেরাগের সলতে, উথাল-পাথাল দুপুর, টুপ করে চুপ হয়ে যাওয়া সন্ধে, আঁধার, অমানিশা, ধুধু মরুভূমি - দুটি বৃত্ত, একাকিত্ব, হাহাহা আরও অনেক কিছু। পাগল আমি!
তোমরা আমাকে সস্তা ভাবো
অথচ পুরো পৃথিবী আমাকে চেয়ে পায়নি
আমি কারোরই হইনি, এমনকি নিজেরও না
আমি আমাকে ছাইভস্ম করে উড়িয়ে দিয়েছি হাওয়ায় হাওয়ায়।