লালচে ঘোড়ার লোমে ঘাস শুয়ে আছে, আস্ত কমলা সূর্য নেপিয়ার ডগা ছুঁতে ট্রাক্টর মেশিন বেজে ওঠে, তারছেঁড়া রেডিওর নোটেশনে- বিকালের টেম্পারেচারে সেদ্ধ শরীর দেখে চাষার নূতন কাপড় সুতায় ছউ নাচে; নারিকেল বনে অষ্টপাস বাতাস সাঁতরায়, গেরস্থের বামন নিরবতা গ্রহের মতো জ্বরে পাঁক খায়- বাগানের ছোট্ট পাখিটির মতো রাতে নিরিবিলি জলপাই ঝরে, জোৎস্নায় ডুব দিয়ে লাললাল ঘোড়া চড়ে; ঢিবির নির্জনতার ‘পরে- অসুস্থ চাঁদ ইরিক্ষেতে হাঁটুজলে মাছ মুখে জলডোরা সাপ চুপ হয়ে আছে, মৃত্যুর অরগ্যান বাজে চারপাশে; করাতকলের মিউজিকে দল বেঁধে জেব্রারা নেমে আসে, ডিজেল ইঞ্জিনের মাঠে মসলিন ভায়রো’ সুর বাতাসে, নাড়ার আগুনে ঝলসানো জেব্রার মাংস কারা খায়ঃ কার্তিকের এই নবান্ন মাঠের তারায়?