পিপাসা শেষে পাত্রের জল,
আধখাওয়া সিগারেট,
সাথে চিনি অতিরিক্ত চায়ের শেষ চুমুক।
ফিল্টারে লেগে থাকা আতস,
তলানিতে জড়ানো অবশিষ্ট চা,
যা বরাবর অবহেলায়ই থাকুক।
এসব আমার হয়েও না হওয়া প্রেম,
জলন্ত অতস, এতো আমার চাহিদার রূপ।
যা শেষ বারব্দী যত্নে ছিল,
পরম মমতায় আগলে ছিল,
ছিল আমার সুখ সঙ্গী,
দুঃখগুলোর ধারক বাহক।
শেষে হল ছুড়ে ফেলা জল,
ভদ্রতা রক্ষায় হেলিত চা,
ভ্যাপসা ফিল্টারে নিকোটিন।
‘তুমি’ নামক যে নিকোটিন
নিঃশ্বাসে টেনে পৌছিয়ে ছিলাম মস্তিষ্কে,
গ্রহণ করেছিলাম শীতের রাতের আশ্রয়
বা গ্রীষ্মের ছায়ারুপে;
আজ তাই আমার দুখের কারণ,
বদভ্যাসের অপ্রিয় জিঞ্জির,
বন দাপানো সিংহ,
শিকারীর সফল বাঁধন।
তবুও বলি, দিব্যি আছি, ভালো আছি।
(১৩,০৮,২৪)