আপনি কি জানেন সুখ স্বর্গীয় বলা হলেও সুখ আসলে স্বর্গীয় বিষয় নয়!
মূলত সুখই একমাত্র সম্পত্তি যা আপনি নিজের ইচ্ছা মত (মনের মধ্যে) তৈরি করতে পারেন! অবিশ্বাস্য তাই না?
হ্যাঁ! আপনার বোকা মস্তিষ্ক আপনার দুঃখ এবং বিষাদের জন্য দায়ী। বোকা ব্রেইনই হচ্ছে সেই অপরাধী! আবার আপনার মস্তিষ্কই সেই নায়ক যে আপনার সুখের জন্যও দায়ী! তার মানে, আপনার মন আপনার মস্তিষ্ককে বোকা বানায় এবং আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে বোকা বানায়!
আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাই তো?
বিশ্বাস করুন বা না করুন, এখানে কোনই আধ্যাত্মিকতা নেই, এটি শুধুই একটি প্র্যাকটিস!
তবে একটি কথা অভূতপূর্বভাবে অবিশ্বাস্য, এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। আপনার বিলিভ সিস্টেম আপনাকে আপনার কাঙ্খিত জিনিসটি অর্জন করায়। আপনার মন একজন ড্রাইভার এবং আপনার মস্তিষ্ক একটি লোকাল বাস! এই লোকাল বাসে চড়েই আপনি আপনার গন্তব্যে যেতে পারেন।
আপনার মন পজেটিভিটি এবং নেগেটিভিটি এট্রাকশনের জন্য দায়ী, সে ক্ষেত্রে মন একটি শক্তিশালী ব্ল্যাকহোলের মতো কাজ করে। আপনি যদি পজেটিভ ওয়েভ তৈরী করেন তবে আপনার ভাগ্য এবং ভবিষ্যত আপনার পছন্দসই জিনিসটিকে আকর্ষণ করবে! তবে মনে রাখবেন, আপনি যদি নেগেটিভ ওয়েভ তৈরি করেন তবে আপনার ভাগ্য এবং ভবিষ্যত অন্ধকারকে স্বাগত জানাবে!
তার মানে, আপনি আপনার পাশে যা দেখছেন তা আপনার থট প্রসেস দ্বারা তৈরি একটি পৃথিবী! আপনার ইনভাইরনমেন্ট আপনার নিজেরই তৈরী! তবে বাটারফ্লাই ইফেক্ট সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা বুঝতে পারবেন, কিছু কিছু ছোট ছোট কাজ আপনার ইনভাইরনমেন্ট এবং আপনার নিজস্ব ইকোসিস্টেমকে(আপনার ফেট এবং ফিউচার) দারুনভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
আপনার কি মনে আছে 'ওম শান্তি ওম' সিনেমাতে শারুখ খানের সংলাপ টি - “কেহতে হ্যায় আগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো … তো পুরী কাইনাথ উসে তুমসে মিলানে কি কোশিশ মে লাগ জাতি হ্যায়”। এই সামান্য বাক্য অনেক কিছু শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা ম্যাসেজটি গ্রহণ করতে পারি নি। আধ্যাত্মিক সাধনার সামান্য কিছু চর্চা আমাদের মত সাধারণ মানুষদেরও করা উচিৎ। আমরা ভাবি যে, আধ্যাত্মিক সাধনা শুধুই সাধকদের কাজ। আসলে বিষয়টি মোটেও এমন নয়। এই চর্চা সবার জন্যই। নিজেকে জানার জন্য।
আসলে, আপনি কি জানেন, আমি কেন এই গল্পটি আপনাকে বলছি?
মেইনে কাহা, কিউ কি ইসি চিজ মেরা দিমাগ মে ইন্সটল হো যায়।