সামরিক শক্তিতে সেরা বলেই কি আমেরিকা দুনিয়ার সেরা?
কিছু তথ্য জানলে সেটা বুঝতে সুবিধা হবে। প্রথমতঃ বিশ্বরে সবচেয়ে বেশি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় আছে আমেরিকায়। হার্ভার্ড, ইয়েল, স্টানফোর্ড, এমআইটি, প্রিন্সটন সহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসবে এই তালিকায়। আছে অসংখ্য রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
দুনিয়া জুড়ে যত নতুন নতুন আবিষ্কার তার অনেকটাই ওখানে সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ আমেরিকা মূলত জ্ঞান চর্চায় অনন্য। Intellectual Property (IP) Index, Global Innovation Index, Agility Index, Education System সহ অসংখ্য ইনডেক্সে ওরা দুনিয়া সেরা/অন্যতম সেরা।
সেই জ্ঞান সৃষ্টির বাস্তবিক প্রয়োগ হিসেবে অর্থনীতিতে সেরা, সামরিক শক্তিতে সেরা, কালচারাল ইনফ্লুয়েন্সে সেরা। ওদের অর্থনীতি এখনও এক নম্বর, সামরিক শক্তিতে এক নম্বর, হলিউডের মুভি দুনিয়ার সেরা। উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সেরা সেরা। ওদের এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, টেসলা, আমাজন, গুগল, মেটা সহ অসংখ্য ব্যবসা/প্রতিষ্ঠান দুনিয়ার সেরা। আর সব মিলিয়ে দুনিয়ায় হামকি ধামকিতেও ওরা এক নম্বর।
এর বিপরীতে আমরা তলানিতে আছি। আমরা যদি যেকোন ইনডেক্সে আমাদের অবস্থান খেয়াল করি, আমাদের নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারি/পারবো। বছর দুয়েক আগে Intellectual Property (IP) Index এর একটা নিউজ বেশ ভাইরাল হয়েছিলো। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি কথায় কথায় তাচ্ছিল্য করার জন্য যে উগান্ডার উদাহরণ দেই, ওরাও আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।
আমাদের এগিয়ে যেতে হলে সর্ব প্রথম জ্ঞান সৃষ্টিতে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে। আমার সামান্য জ্ঞানে বলতে পারি, যদি সাবজেক্ট ধরে ধরে দেখি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা যা পড়ি, পড়াই তা ওদের ওখানে ২০/৩০ বছর আগে ছেঁটে ফেলে দেয়া হয়েছে। আমরা এমন কিছু বিষয়ে অনার্স/মাস্টার্স ডিগ্রি দেই, তার চেয়ে বিজ্ঞানে কেউ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করলে এগিয়ে থাকবে। শিক্ষায় আপ্টূডেট হওয়া জরুরি। এর বাইরে দুনিয়াতে বা আঞ্চলিক পর্যায়ে ভালো করার বিকল্প কিছু নেই।
আমরা যখন বিনা পরীক্ষায় পরের স্তরে যেতে চাই, তাতে শুধু আমরা আরও পিছিয়ে পড়ি। তখন সব ইনডেক্সে একটু একটু করে তলানিতে জমা হতে থাকি।