পোস্টস

চিন্তা

শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার পরিপন্থী

২৭ আগস্ট ২০২৪

সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন

মূল লেখক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন

শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা উচিত। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের জীবনে জ্ঞান ও নৈতিকতার আলো ছড়িয়ে দেন। তবে, কখনও কখনও কিছু শিক্ষক তাদের দায়িত্বের অপব্যবহার করতে পারেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু শিক্ষকের অপরাধ যতই গুরুতর হোক না কেন, ছাত্রদের উচিত নয় শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই দশটা সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

প্রথমত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার পরিপন্থী। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের সমস্যাগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা। যদি কোনো শিক্ষক অপরাধ করেন, তবে শিক্ষার্থীদের উচিত প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করা। আইন এবং প্রশাসনই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আচরণে সংযম প্রদর্শন করা এবং সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
তৃতীয়ত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এমন ঘটনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে পারে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষামূলক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রোধ ও হতাশা সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
পঞ্চমত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের সামাজিক সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের সামাজিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
ষষ্ঠত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমাদের সমাজে শিক্ষককে গুরুজন হিসেবে সম্মান করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
সপ্তমত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের শিক্ষার মান কমিয়ে দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের শিক্ষাজীবনকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
অষ্টমত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের কর্মজীবনের সাফল্য কমিয়ে দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের কর্মজীবনকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
নবমত, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়িত্বের পরিপন্থী। আমাদের সমাজে শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের সমাজের প্রতি দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা।
দশমত,শিক্ষকরা ও মানুষ তারা ও ভুল করবে স্বাভাবিক। তাই বলে তাদের উপর হকত তোলা এটা মানানসই না।এটা কতটা অপমানজনক সেটা শুধু ঐ শিক্ষকই জানতে পারে।পাঠ্যবই থেকে আমরা আদব কায়দা শিখিনা কখনো, আদব কায়দা শিখি পরিবারের কাছ থেকে।তাই শিক্ষকদের সম্মান করুন শ্রদ্ধা করুন।

অতএব, শিক্ষকের অপরাধ যতই গুরুতর হোক না কেন, শিক্ষার্থীদের উচিত নয় শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা। বরং তাদের উচিত প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করা। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের আচরণে সংযম প্রদর্শন করা এবং সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা। শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।