আসলে কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। গত দেড়মাস আগে কলেজের যাতায়াতের সুবিধা ও অন্যান্য কারণ বশত বাসা ছেড়ে চলে আসি নানুর বাড়ি। এখানে সব ভালো যাচ্ছে। শান্ত পরিবেশ, এতো সুন্দর একটা পরিবার এত আদর-যত্ন এতসব ভালোর মাঝে থেকেও আমি একটা কারণে প্রচুর কেঁদেছি😭৷ আসলে বাইরে থেকে ভালো থাকলেও একটা দূর্বিষহ চিত্র যা প্রতিদিনই আমায় আমার বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়।
নানুদের বাসাটা দুতলা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। যদিও, সম্পূর্ণ না খোলামেলাভাবে আছে তবুও আপাতত দোতলাতেই থাকি। তো পাশে ঠিক একতলা নিচ একটা ছাদ পরেই তিনতলা যমালয় যেখানে উপর-নিচ নরপিশাচের দুই দম্পতি থাকে তাদের একটিমাত্র মা কে নিয়ে। আসলে তাদের জন্য উনি মা নন যেনো আস্তাকুঁড়ের নোংরা আবর্জনা😔😔😔। বলছি কেনো, তারা আমাদের সম্পর্কে আমার নানার চাচাতো ভাই লাগে। তিন ভাই এক বোন(শারীরিক প্রতিবন্ধী) ছিলো। ওদের বাবা মারা যাওয়ার ৪০ দিনে একটা ভাই মারা যায়৷ তারপর থেকে অভাগী এই মা একা ছেলে-মেয়ে বড় করে(বড় করে ঠিক তবে মানুষ করতে পারে নি😭)। এখন দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে এই মা তার জীবন কাটিয়ে দেয়। শেষ বয়সে এসে নিজের বাপের বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা এনে তুলে দেই ছেলেদের হাতে এই তিনতলা বাড়ী করার জন্যে।কিন্তু, ববড়ই আফসোস আআজকে এ মায়ের ঠাঁই ঐ ঘরের চৌকাঠেও হয় না আল্লাহ😭😭। তার দুই ছেলে বিয়ে করে নিজেদের পছন্দের দুই কালপ্রিটকে 😡। বাড়িটা করার আগে মোটামুটি ভালো ছিলো কিনা বলতে পারি না তবে এখানে উঠার পর থেকে তারা যেনো রাজার সিংহাসনে বসেছে। একের পর এক নির্যাতন চালাই মা আর বোনের উপর। যদিও বোনের উপর আরো আগে থেকেই এসব চালিয়ে এসেছে। দুই ভাই মিলে কথায় কথায় সে কী মারধর করতো জুলি আপুকে(প্রতিবন্ধী বোনটা)। সে মারা গিয়েছে আজকে দুই বছরের কাছাকাছি। মারা যাওয়ার পিছনেও কারণ আছে। আগে তো দুই ভাই মিলে দুভাই মিলে বউদের কথা ধরে কথায় কথায় মারধর করতোই। পরে পরে এই পৈশাচিক নির্যাতনটা যেনো তাদের নিত্য দিনের কর্মে পরিণত হয়। ওরা প্রায়শই আপুকে কাপুরুষের মতো এতো খারাপভাবে আঘাত করতো যে আপুর অনেক জখম হয়ে যেতো। রোগা সোগা হয়ে দিনের পর দিন কাতরাতো, ভাইরা তো তাদের আদুরে বউদের বশে। তাদের বউ যদি রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানাতে বলে তবে তাই মেনে নিবে(Such like a beast)। তারা তাকে উসটা মেরেও দেখতো না। দুতলা আর তিনতলায় তাদের বউ বাচ্চা নিয়ে আরাম-আয়েশে থাকতো আর মা বোন কে ছাঁদের উপর টিনশেড একটা রুমে থাকতে দিতো 😓। এখন শুধু জুলি আপুর কথায় বলি। এরা মা মেয়ে দুবেলা খাওয়ার জন্য আল্লাহ😭। পরে পরে আত্মসম্মানের তাড়নায় জুলি আপু নিজে কাজ করে। পাড়ার কয়েকজনের সহায়তায় দু'একটা টিউশন করতো আর অনলাইনেও কিছুদিন কাজ করেছিলো।সে হবে হয়তো টেন অবধি পড়েছে, মারা যাওয়ার আগে বয়স হবে ২৫ বা একটু কম৷ যাইহোক, ততার এমন আত্মউদ্যোগ দেখে আর এটা ভেবে যে, “সে তো এখন আর আমাদের পায়ে লুটাচ্ছে না, প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে ”। দুই বউই প্রতিবার ষড়যন্ত্র করে তার টিউশন বন্ধ করিয়েছিলো। এমনকি এটা করার পর সে যখন জমানো টাকা দিয়ে ফোন কিনে অনলাইনে মেকআপ প্রোডাক্ট সেল করা স্টার্ট করে তখন বড় বউ তার ফোন ভেঙে দেয় দু-দুবার,,,,,,,
Wait for part 2,,,,,,,