পোস্টস

প্রবন্ধ

একটি দেশের গল্প

১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আযাহা সুলতান

মূল লেখক আযাহা সুলতান

একজন অন্ধ যেমন আরেকজন অন্ধকে পথ দেখাতে পারে না তদ্রূপ একজন অজ্ঞ আরেকজন অজ্ঞকে জ্ঞান দিতে পারে না। রাষ্ট্রপরিচালনা আমাদের কোনো ছলিমুদ্দিনের হাঁসমুরগির খামার নয় যে, যে-কেউ এলাম আর চালিয়ে নিলাম। এটাও যেমন চালানোর একটা অভিজ্ঞতার দরকার। রাষ্ট্রপরিচালনাও অতীব ধুরন্ধর বিষয়। সামান্য একটা ঘরসংসারের দায়িত্ববহনে মানুষ কত হাঁপিয়ে যায়। দেশের মন্ত্রণালয় কি কোনো ঠাট্টাপরিহাসের জায়গা? এটা দেশের একটি সর্বোচ্চ মাননীয় স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জায়গা। এখানে বসে যেমন যা তা বকা যায় না তদ্রূপ দেখার অযোগ্য কোনো কর্মকাণ্ডও করা যায় না। এখানে শিক্ষার যত প্রয়োজন আছে তত অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন আছে। ছাগল দিয়ে যেমন হালচাষ হয় না তেমন আনাড়ি ও অনভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা চলে না। অবশ্য একটা কথা আছে, যোগ্যাসনে যখন অযোগ্যরা বসবে তখন বুঝে নিতে হবে এটা কেয়ামতের একটি বড় লক্ষণ বা আলামত। 

 

আমাদের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টার ওপর নয়। আমাদের অভিযোগ দুয়েকজন ছোকরা উপদেষ্টার ওপর। কোনো কোনো স্থানে ছেলেমি যেমন মানায় না, মন্ত্রণালয়ও তেমন একটি স্থান। এখানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের যত দরকার বয়সের দিক দিয়ে মানানসই ব্যক্তিবর্গেরও তত দরকার। জনসাধারণের অধিকার আদায় বলো বা বাকস্বাধীনতা বলো অথবা বৈষম্যবিরোধ বলো কিবা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত বলো এই গণ অভ্যুত্থানে বা জাগরণে আগের কাতারে লাঠিহাতে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের অবদান যত আছে, সবার পেছনের কাতারে ইটপাটকেল নিয়ে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের অবদানও তো কম নেই বা ছিল না। তা হলে? দুটো ছেলেকে দিয়ে তো আর এই পুরো অর্জন হাসিল হয়নি! সত্য বলতে, এই আন্দোলনে ছাত্ররা যত রক্ত ঝরিয়েছে বিএনপি-জামাতও তো কম রক্ত ঝরায়নি? সাধারণ জনতার কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম! কিন্তু, সকলকে বাদ দিয়ে মাত্র দুটো ছোকরা ছেলেকে যখন মন্ত্রণালয়ের বিরাট একটা দায়িত্বশীল সম্মানীয় আসনে বসানো হয় তখন সাধারণ জনমনে এই খটকা লাগাটাই স্বাভাবিক। তাদেরও তো দায়িত্ব ছিল, তারা যদি এত বড় মনের অধিকারী হতো আর অন্যদের মনের কথা চিন্তা করত এবং নিজেদের স্বার্থ না বুঝত তারা এই পদ গ্রহণ না করে বলত, আমরা সকলে সমন্বয়পরিষদে থাকি, আপনারা মুরুব্বিরা চালক হোন। তাদের উচিতই ছিল এটা এবং এটাই অনেকবেশি মানানসই হতো কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে বা সরকারকে সাহায্যসহযোগিতা করে যাওয়া। না, তারা এটা করবে কেন? এই আসন সম্মানের যত এবং তত গৌরবের ও অর্থের কথা নাইবা বললাম। লোভনীয় ছাড় সব জায়গায় দেওয়া যায় না এবং সকলে তা দিতেও পারে না। 

 

‘দশে মিলি করি কাজ হারিজিতি নাহি লাজ’ দশের অর্জন দুয়েকজন বেশি ভোগ করবে কেন? এটা যেমন, ছাগলের চারটি বাচ্চা দুটি খেয়ে নাচছে তো আর দুটি না খেয়ে নাচছে। দুজন দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল আসনে আসীন আর কয়েকজন দেখা যাচ্ছে বাইর থেকে বকছে তো বকছেই, কখনো এই আল্টিমেটাম তো আবার কখনো ওই আল্টিমেটাম, হুঁশিয়ারি-পর-হুঁশিয়ারির সংকেত দিচ্ছে তো দিয়েই যাচ্ছে! কেউ কেউ আবার এগুলো মজাদারে গিলছে তো গিলছে! কেউ কেউ আবার হাসির খোরাক বানাচ্ছে! কেন রে ভাই? একটি দেশ ও দেশের মন্ত্রণালয় তো হাসিঠাট্টার স্থান বা জিনিস নয়! যা সকলে মিলেঝুলে বানাচ্ছ! দেশ তো গুটি কয়জনের দ্বারা স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি। তা হলে? রাজা ছাড়া রাজত্ব যেমন চলছে, চার দিকে যেন এমনই উপদ্রব—জ্বালাও-পোড়াও! ভাঙাভাঙি! লুঠপাট! চুরিডাকাতি! কেন? প্রশ্নের অন্তরালে অনেকেই নির্বাক দর্শক! আরে মিয়া, মাননীয় আসনে মানানসইদের বসাও তা হলে দেশের মঙ্গল ও দশের মঙ্গল। তোমরা সমন্বয় করছ—ভালো কথা, সমন্বয়ের থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাও। এতে জনগণের আস্থা তোমাদের প্রতি যত বাড়বে শ্রদ্ধাস্নেহও তত বাড়বে। কোথাও দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে আগে নিজেকেই পরিশুদ্ধ করতে হয়। ‘আপন ভালো তো জগৎ ভালো’ নিজের ভেতরে কালোছায়া রেখে অপরের কালিমা দূর করা যায় না। নিজেকে নীতির ছকে আনতে পারলে পরের দুর্নীতি শেষ করা সম্ভব। অসম্ভব বলেও কিছু নেই। 

 

হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খিস্টান পৃথিবীতে এই চারটি ধর্মের লোক বেশি। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী তুলনামূলকহারে কম। ধর্ম কোনো কথা নয়। পৃথিবীর সকল মানুষকে দুই ভাগে না, চার ভাগে ভাগ করলে এক ভাগ খারাপ, এক ভাগ অত্যন্ত খারাপ, এক ভাগ ভালো এবং এক ভাগ অত্যন্ত ভালো এভাবে হিসাবের পরেও দেখা যায়, অত্যন্ত খারাপ ও অত্যন্ত ভালোর সংখ্যাও খুব কম। বলা যায়, ইউনুস সাহেবের মতো একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ দেশের পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে এটা জাতির সৌভাগ্য-কপাল (বাইর থেকে যা আমরা দেখি আর কি, মানুষ তো আর অন্তর্যামী নয় কারও অন্তরের খবর জানবে) এবং এসেছে আসিফ নজরুল ও অন্যান্য বিজ্ঞজন। দেশপরিচালনার অভিজ্ঞতা কার কতটুকু সেটা আমরা সাধারণ জনেরা কেউই জানি না। এটা নির্ভর করবে দেশপরিচালনার ওপর এবং দেশের উন্নতি বা অগ্রগতির ওপর। তার পরেও তাঁরা প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ, এই আসনে তাঁদের মানায়। তাঁদের সঙ্গে তোমাদের আসনভাগ করে বসতে হবে একোন যৌক্তিকতা? লজ্জারও একটা হদ থাকা উচিত। মনে রাখবে, বড়ছোটর স্নেহসম্মান যেই সমাজ থেকে ওঠে যাবে সেই সমাজের সমাজব্যবস্থা গরুছাগলের পর্যায়ে নেমে আসবে। মানামানির সমাজকাঠামো আর একই জায়গায় স্থির থাকবে না—একসময় তা বিলীন হয়ে যাবে। ছাত্রদের আচরণ ছাত্রপর্যায়ে থাকা ভালো। শিক্ষকদের সমান আসনে ছাত্ররা বসলে যেমন শ্রী বজায় থাকে না তেমন মাননীয়ও দেখায় না। মানবীয়গুণ যাদের মধ্যে থাকে না তারা সমাজ বা দেশের আমূল পরিবর্তন আনবে কীভাবে? একটি বিশ্রী জিনিসকে ভেঙেচুরে সুন্দর বানানো যায় কিন্তু একটি সুন্দর জিনিসকে ভেঙেচুরে বিশ্রী বানানো যায় না। গুরুশিষ্যের আসন আজীবন স্ব স্ব স্থানে বিদ্যমান। স্ব স্ব স্থানে বজায় রাখাও গুরুশিষ্যের জন্যে মর্যাদার ও মঙ্গলের। রবীন্দ্রনাথ একটা কথা বলেছিলেন—কোথা যেন পড়েছিলাম ভুলে গেছি—হয়তো এভাবে ‘বালক বড়দের সভায় গিয়ে ছেলেমানুষি করলে বালকের জন্যে যেমন শোভনীয় নয়, ছেলেমানুষি মনে করে দেখে যাওয়া বড়দের জন্যেও অশোভন’ বাক্য যেরকমই হোক তবে মর্মার্থ এই। তা হলে? কিছু কিছু ক্ষেত্রে যতই অফিশিয়াল নিয়মাবলির বাধ্যবাধকতা থাকুক-না কেন, সন্তানের বয়সী একজন মানুষের সামনে পিতার বয়সী একজন বয়োজোষ্ঠ্য মানুষ করজোড়ে বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে এটা যেমন বেমানান, সন্তানবয়সী কেউ চেয়ারে বসে কর্তাগিরি করবে এটাও চরমপন্থার এবং লজ্জার। 

 

‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ কাথাটার গুরুত্ব ব্যাপক। সমৃদ্ধিশালী একটি দেশ গড়ে ওঠুক এ কামনা সকল শ্রেণিপেশার এবং সর্বস্তরের মানুষের কাম্য প্রত্যেকেটি দেশের নাগরিকের থাকে। তবে? কারও কারও মনে কেন হবে, দেশ আজ অভিভাবকহীনতায় ভোগছে! দেশের যে-কোনো সমস্যায় ও যে-কোনো পরিস্থিতিতে তোমরাই যেখানে-সেখানে ঝাপিয়ে পড়বে একোন দেশের নিয়মকানুন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কোথায়? দেশের প্রতি তাদের ভূমিকা কী? দেশের অভ্যন্তরিণ কোনো সমস্যায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে র‌্যাব আছে, বিজিবি আছে এবং সেনাবাহিনী আছে তাদের দায়িত্ব কী? তারাই তো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী। তা হলে? নির্বাচিত সরকার হোক অথবা তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন। সরকার তো সরকারই দেশের যে-কোনো পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। কাঠপুতুলের মতো সরকার কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা বা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না। কিছু জায়গায় যেমন বিজ্ঞজনের কাজ নেই, সবখানে তদ্রূপ ভালো মানুষেরও স্থান নেই। রাষ্ট্রপরিচালনাও এমন একটি বিষয়, যেখানে কঠিন থেকে কঠিনতম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। রাষ্ট্রের কাছে যে-কেউ ন্যায্য অধিকারের দাবি রাখতেই পারে, এটা তার নাগরিক অধিকার। এটা নিয়ে কর্তাব্যক্তিরা বসে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত বা সমাধানে যেতে পারে। দাবি আদায়কারীদেরও বোঝা উচিত দেশের চলমান পরিস্থিতির কথা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কারওই উচিত না দাবি নিয়ে আন্দোলন করা। দেশ যখন সংকট-পরিস্থিতি কাটিয়ে একটা অবস্থানে ফিরবে তখন কার কী চাওয়ার আছে চাওয়া যেতেই পারে। বিপদে যারা ফায়দা লুঠবে তারা লুঠেরা। তাদেরকে কোথাও কোনো দায়িত্বে রাখা বা বসা মানে দেশের ক্ষতি করা এবং দশের ক্ষতি করা। দেশের স্বাস্থ্যখাত বলো শিক্ষাখাত কোনোটাই আজ ভালো অবস্থানে নেই। অথচ এই দুটি জায়গা একটি দেশের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিক্ষাখাত তো আজকাল দেখা যাচ্ছে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে! এগুলো যথাস্থানে ফিরিয়ে আনা কি জরুরি নয়? নাকি আগে দললিগ শেষ করা জরুরি? রাষ্ট্রের সার্বিকবিষয়ে চিন্তা করাটা সরকারের দায়িত্ব—জনগণের নয়। এখন দেখছি দেশসংস্কার করণে সরকারের চেয়ে জনগণের মাথাব্যথাই বেশি! রাষ্ট্রের দায়িত্বভার যেন সরকার এদের দিয়ে রেখেছেন যা রীতিমতো হাস্যকর। অনেকেই সরকারের বা দলের তাবেদার নয়। তাদের অযুক্তি যেটা লাগবে সেটা তারা প্রকাশ করবে এবং একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে এই অধিকার তাদের আছেই। এখন মানা না মানা সেটা একান্ত অভিযুক্তদের ব্যাপার। 

 

বর্তমানে দেশের চারি দিকে চলছে পদত্যাগের হিড়িক! এই পদক্ষেপ কেন? মানুষ একটা দলের বা গোষ্ঠীর হতেই পারে, হলেই যে সব মানুষের মনমানসিকতা খারাপ হবে এমন তো নয়। দেখা যাচ্ছে কাউকে পদাসনে বসাতে কাউকে একেবারে টেনেহেঁচেড়ে নামানো হচ্ছে! একজন মানুষের প্রতি এত ঘৃণা কেন? ঘৃণার নীতি তো জাতির জন্যে শুভঙ্কর নয়। তা হলে? একজন মানুষকে এত অপমান-অপদস্থ কেন করা হচ্ছে? শিক্ষকেরাও তো মানুষ বানানোর কারিগরের চেয়ে বড় পরিচয় একজন মানুষ। ভুলে যাচ্ছ কেন গুরুজন ও শিক্ষকের মর্যাদা? সবার তো জানা, ঘরে অভিভাবক মা-বাপ হলে স্কুলে অভিভাবক শিক্ষক। মা-বাবার পরে শিক্ষকের আসন। তবে? যে শিক্ষার্থী শিক্ষকের মর্যাদা ভুলে যায় সে শিক্ষার্থীর জীবনোন্নতি কোথা! চোখ বন্ধ করে চিন্তা করছি, এমন সময় অদৃশ্য একটা কণ্ঠস্বর ভেসে এলো আর কানেকানে বলল—আমি বাংলাদেশের গল্প বলছি, ‘আমাকে রাক্ষসের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো মনে হচ্ছে—মৃত্যুকূপে! রাক্ষসের হাতে যদিওবা জিম্মি থাকলেও মৃত্যু থেকে তো তবে বেঁচে ছিলাম। এখন তো দেখছি মরণের কালো হাতের থাবা থেকে আমার বাঁচন দায়! যারা আমার ‘স্বাধীনতা’ ‘স্বাধীনতা’ করে মরছে তারাই মনে হয় আমাকে কৃষ্ণগহ্বরে ঠেলে দিচ্ছে?’ 
আমিও তার কানেকানে বললাম—মনে কিছু করো না—আমরা জন্ম থেকেই স্বাধীনতা খুঁজছি, পরাধীনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মনে হচ্ছে আমাদের জীবন; উদ্ধারে কত প্রার্থনা করছি কিন্তু কোনো নিঃস্বার্থ উদ্ধারকারী আসছে না আমাদেরকে করতে উত্তরণ। যুগেযুগে যারাই ক্ষমতায় এসেছে—বসেছে তারাই লুঠপাট করেছে! দেশের উন্নতির চেয়ে বেশি করেছে দেশের ক্ষতি! জনগণের সুখশান্তি বা স্বস্তি এনে দেবে দূরে থাক, গড়ে তুলেছে ত্রাসের রাজত্ব! দিনদুপুরেই মানুষকে চলতে হয়েছে খুব সতর্কতায় ও ভয়ে ভয়ে! রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কেউই দেশের বা দেশের জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না! এই পচা মানসিকতার রাজনীতি কেন? এই মানসিকতার রাজনীতি যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ দেশের উন্নতি নেই। এই কুরসি কি এতই মজাদার? কেউ তার লোভ ছাড়তেই পারছে না? শেষকথার এককথা—জামাত আসুক বা বিএনপি আসুক কিংবা আওয়ামিলিগ আসুক অথবা জাসদ-বাসদ যে-কেউ আসুক-না কেন, দেশের ভালো ও দশের ভালো কেউই চিন্তা করবে না বা এই ভাবনা নিয়ে কাজ করবে না। আবার যেই লাউ সেই কদু। আবার ত্রাসের বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম চলবেই। কারণ, সে এলে আমার রক্ষা নাই এবং আমি এলে তার রক্ষা নাই। হিংসা-প্রতিহিংসার নোংরা রাজনীতি এদেশে চলবে এবং চলতেই থাকবে আর এর ফলভোগ করতে হবে সাধারণ জনগণকে—এটাও জাতির সৌভাগ্য-কপাল।