যে তারা খসে পড়ে তাঁর কোন হদিস থাকে না। কোথায় চলে যায়, কোন তিমিরে, তারে কেউ খোঁজে না। গ্যালাক্সি ছায়াপথে হাজারো তারা থাকে। শরীর থেকে লোম ঝরে গেলে যেমন আমরা টের পাইনা, তেমনি দুই চার টা তারার পতন হলেও ছায়াপথের কিছু আসে যায় না।
দুনিয়া নিজেই একটা স্বয়ংসম্পুর্ন ব্যবস্থা। এখানে কেউ অনিবার্য নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে অবশ্য অনেক ব্যতিক্রমের উদাহরণ দেখা মিলে। যুগে যুগে কিছু মানুষ এসে নিজেকে অনিবার্য ভেবে বসে। তাঁর নিজের কোন বিকল্প নেই, এটা প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু আদতে দেখা যায়, সময় নিজেই তার বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। এভাবে ইতিহাস বারেবারে সেই উদাহরণ সৃষ্টি করে, কিন্তু সময়ের শিক্ষা কেউ নেয় না।
কার কাছে শুনেছিলাম মনে নেই। তারকা দ্যুতি দূরত্বের সাথে সমানুপাতিক। তারকা বা স্টারডম যত দূরে থাকে ততই ভালো। কাছে গেলে সেখানে উজ্জ্বল আলোর বদলে নিকোষ অন্ধকারের সন্ধান মিলতে পারে।জীবনের চলতি পথে বেশ কিছু তারকার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিলো। তাদের অনেকের সাহচর্যে যথেষ্ট ঋদ্ধ হয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে এমনও জন আছেন যাদের আশেপাশে গেলে দুর্গন্ধে টেকা যায় না। সেই অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, তারকা যত দূরে থাকে তত মঙ্গল।
এই অধমেরও পতন হয়েছে। কি মাত্রায় হয়েছে তার পরিমাপ করা হয়ে উঠেনি। পতনই জানান দেয়, আমিও তারকা ছিলাম। তারকা না হলে কিভাবে সেটার পতন হয়, আপনারাই বলুন? কিন্তু পরিহাসের বিষয়, নিজের সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। এই আমাকে দিয়ে আমার কি হবে!! জাতির যে কিছু হবে না, সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ ঐটাই, আমি নিজেও জানতাম না আমি একজন তারকা। গতকাল পতনের পরই জানতে পেরেছি। ইদানিংকালে যত রকম পতিত জিনিস আছে, তাদের মতই আমি পতিত তারকা, ফলেন স্টার!
এবার আসি মূল কথায় আসি। গতকাল মোবাইলে মেসেজ এসেছে। এতকাল ধরে আমি একজন জিপি স্টার ছিলাম, পরশুদিন পর্যন্ত সেটা কার্যকর ছিল।গতকাল স্টারের নাম থেকে আমার নাম কাটা পড়েছে। আমার নাম কাটা পড়েছে, আমি দুঃখ পাওয়ার আগে ওরাই অনেক খানি প্রকাশ করে ফেলেছে। এখন আর কি আমার দুঃখ প্রকাশ করা উচিৎ হবে? ভবিষ্যতে যাতে স্টারের তালিকায় নাম তুলতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পরশু স্টারের তালিকায় যেমন ছিলাম, নন স্টারে আজও সেরকমই আছি। এই স্টার ধুয়ে কি খাইতাম!! জিপি মহাশয়, এই স্টারই কি হতে চেয়েছিলাম!!