পোস্টস

চিন্তা

জেলাসি নিয়ে ফ্যালাসি

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Madhab Debnath

মূল লেখক ডেল এইচ খান

আতর বিক্রেতার সাথে মিশলে আপনি না চাইলেও দেখবেন আপনার গা থেকে হালকা খুশবু বের হবে আর কয়লার ডিলারের সাথে মিশলে দেখবেন না চাইলেও আপনার সফেদ কাপড়ের এখানে ওখানে কালি লেগে যাবে।
সঙ্গ ব্যাপারটা আসলেই ইম্পর্ট্যান্ট কারন মারফিও বলেন- “তোমার চেয়ে আহাম্মক মতান্তরে সাহসী কারো সাথে ট্রেঞ্চ শেয়ার করবা না, কারন এই আহাম্মক নিজেরে জাহির করতে গিয়া হুদাই এনিমির দৃস্টি আকর্ষন করবে আর মুফতে নিজের জান কোরবান করবে, সাথে তুমিও খাল্লাস।”
সৎ সংগে স্বর্গবাস, অসৎ সংগে সর্বনাশ অথবা সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে কিংবা যদি হয় সুজন তেতুল পাতায় নয় জন।
এই সব হলো ফ্রেন্ডশিপ নির্ভর ফ্যাক্টস। ফ্রেন্ডস ছাড়া তো লাইফ ইম্পসিবল; কথা সত্য কিন্তু ইয়াদ রাইখেন যে ভুল বন্ধুত্বের কারনে কিন্তু লাইফ আবার লা মিজারেবলও হয়ে উঠতে পারে!
ট্রিভিয়া
যেকোন ফ্রেন্ডশিপ এ পরিচিতি আর সহমর্মিতা হলো বেসিক কন্সিডারেশন্স আর ফ্রেন্ডশিপ নামের এই ক্যামেস্ট্রির যে বাই প্রোডাক্টটা আমরা উপভোগ করি, তা হলো সঙ্গ। জেলাসি বা ঈর্ষা আসলে এই ডোমেইনে প্রহসন মাত্র। ঈর্ষা একটা সহজাত বাস্তবতা।
মজার সত্য হল ঈর্ষাকাতর হতে কিন্তু সার্টেন যোগ্যতা লাগে, অযোগ্য লোক আফসোসে ভোগে, ঈর্ষায় নয়।
“থ্রি ইডিয়ট” মুভিতে যেমন বলে বন্ধু ফেল করলে কষ্ট হয়, ফার্স্ট হইলে আরো বেশি কষ্ট হয়; তার মানে ঈর্ষা করার জন্য এক কলেজে পড়ুয়া বা একই কোয়ালিটির হতে হবে আগে।
ঈর্ষা ইজ ওকে, যদি তা আপনাকে আরো ভালো করতে স্পাইস আপ করে কিন্তু ঈর্ষা ইজ নট ওকে, যদি তা আপনাকে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগায় এবং ক্রমশো আপনাকে আরো অস্থির, হিংস্র আর ক্ষতিকর করে তোলে।
পুনঃশ্চ
ঈর্ষা রোগ থেকে বেরিয়ে আসার পথ বেশ জটিল। ঈর্ষা বোধ করছেন মানেই হল আপনি কিছুটা যোগ্য একজন মানুষ কিন্তু আপনার ভেতর কিছু গুনের কমতিও আছে কিন্তু যখনই আপনি ঈর্ষা থেকে বেরিয়ে আসবার কথা ভাবছেন, তার মানে মানসিকভাবে আপনি এখন বেশ পরিনত এবং জীবনে ইতিবাচকতা আপনাকে কিছুটা স্পর্শ করতে শুরু করেছে কিন্তু ধুমপানের কুফল জানা আর ধুমপান ত্যাগ সম্পুর্ন আলাদা ব্যাপার। তেমনি জেলাসি থেকে আরোগ্যের মহৌষধ হলো দুইটা
১) এক্সেপ্ট দ্য ফ্যাক্ট, সাম ওয়ান উইল বি প্রিটিয়ার দ্যান ইউ, সাম ওয়ান উইল বি দেয়ার টু ডু ইট বেটার দ্যান ইউ, ফাইনালি দেয়ার উইল বি সাম ওয়ান বেটার দ্যান ইউ, অলয়েজ।
২) ঈর্ষা কাতর হয়ে পরার আগেই অন্যের যোগ্যতা আর সামর্থ্যে মুগ্ধ হবার চেস্টা করুন।
পুনঃ পুনঃশ্চ
ঈর্ষাকারীদের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী?
ঈর্ষাকারীরা প্রথমে আপনাকে উপেক্ষাই করার চেস্টা করবে, এরপর তাচ্ছিল্য, এরপর হাসাহাসি, এরপর দূরত্ব বাড়াবে একা করে দিতে, এদের সামনাসামনি হবার কোন সাহস নেই তাই দূর থেকে বার বার ল্যাং মারার চেস্টা করবে, কিন্তু অবশেষে একদিন টিকেট কেটে বউ বাচ্চা নিয়ে আসবে আপনার পারফরমেন্স দেখতে। সো, আপনি আপনার কাজে লেগে থাকুন; রিমেম্বার, শকুনের দোয়ায় কিন্তু গরু মরে না।