আমি ডানপিটে ছিলাম না কখনই!
না আমি কখনই ডানপিটে ছিলাম না!
তালগাছ থেকে কঁচি তাল পাড়ার দুঃসাহস কখনই আমার হয়নি!
হয়নি গাছের মগডাল উঠে পাখির ছানার সাথে খেলতে।
খরোস্রোতা তিস্তায় কখনও ডুব সাঁতার দিবো, কল্পনাতেও ভাবিনি!
ভাববো কেমন করে, বড় বড় পুকুরে গোসল করতেই যে আমার হাঁটুকাপা দশা।
দইখাওয়া বিলে পদ্মফুলে আলতো করে আদর দিতে পারিনি!
নৌকায় উঠতে হবে ভেবে,
ভয়ে ভয়ে সাঁতারটাই তো শেখা হয়ে উঠেনি এখনও।
এখনও বাইরে গেলে কিংবা বাসায় কোন মেহমান এলে সঙ্কোচে মাথা নুইয়ে আসে আমার।
আড়ালে থাকাতেই যেনো স্বস্তি!
না ডানপিটে হয়ে উঠতে পারিনি কখনও।
কিন্তু এবার যখন দেশের ডাক এলো,
যখন শুনলাম গগনবিদারী বঙ্গজননীর চিৎকার!
আমাকে বাঁচাও!
আমাকে বাঁচতে দাও!
দাও একমুঠো আলো!
দাও মুঠো ভরা স্বাধীনতা!
আমি বাঁচতে চাই!
যখন দেখলাম বাতাসে ভর করে আসে বুলেটের ধুমধাম শব্দ,
লাশ হয়ে যায় আবু সাইদ মুগ্ধ'রা!
লাশ হয় শত শত ভাই-বোন, কচিকাঁচা সোনার টুকরোগুলো,
বুকের তাজা রক্তে যখন লাল হয়ে উঠে কালোপিচ।
যখন শুনি ঘাতকের অট্টহাসি,
মানুষ হত্য!
আমি ডানপিটে নই!
কিন্তু দেশের প্রয়োজনে আবার সাহসী হতে পারি,
পারি জীবন বিলিয়ে দিতে!
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে বলতে পারি,
এদেশ আমার!
এদেশ আমার অস্তিত্ব!