সস্তা কাব্য নিয়ে খেলা করা মানুষ আজকাল কম। তারা এখানে খোঁজ করে রক্তমাংসের আনন্দ অনুষঙ্গের। চত্বরের নিচে আবার পাতালরাজ হেডিসের জুড়িটানা ঘোড়ার সাথে পাল্লা দেয়া পাতাল রেল চলে গেছে সশব্দে। শাফিনের সাথে শৈলীর ভালভাবে আলাপ হবার আগ পর্যন্ত শাফিন বুঝতে পারেনি শৈলী নিরেট সাদা গ্লাসে তোলা রঙহীন পানি। সে ভেবেছিল রঙিন পানীয়ের মত সুখানুভূতি হবে শৈলীর সাথে থেকে। ভার্সিটি থেকে স্টাডিট্যুরে যাওয়া হয়েছিল সাগরকন্যার শহরে প্রথমবার। সবার চোখ বাঁচিয়ে প্রথমবার সাগরের সবচেয়ে কাছের ভিলায় শৈলীর নারী হয়ে ওঠা দেহটা দেখার সুযোগ হয়েছিল তার। যদিও শাফিনের জন্যে সেটা প্রথম ছিল না। অনেকবারের মধ্যে একবারের ব্যাপার ছিল সেটা। তবে অন্য রকম কিছু ছিল না একেবারেই। শৈলীর বাইরেটা দেখে মনে হয় ঢল নামা পাহাড়ি কোন সরোবর, অথচ ভেতরটা শ্যাওলা ধরা প্রাগৈতিহাসিক কোন জলাধারের চেয়ে বেশি কিছু না। তাতে আছে কেবল অন্তহীন শীতলতা।