পোস্টস

চিন্তা

উদ্দেশ্যহীন ভাবে বাংলাদেশী প্রজন্ম বড় হওয়া

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তাহসিন আরিফ হিমেল(INNOVA JOURNAL)


---

"উদ্দেশ্যহীনভাবে বাংলাদেশের প্রজন্ম বড় হচ্ছে, যেন তারা একেকটি নৌকা, যার পাল নেই, দিকনির্দেশনা নেই, শুধু স্রোতের জোরে ভেসে চলেছে অজানা কোনো গন্তব্যের দিকে। তাদের মাঝি যেন নেই, আর নেই কোনো লাইটহাউস, যা পথ দেখাবে। ঝড়-তুফানের মধ্যে দিশাহীন সেই নৌকা গুলো কখনো কখনো আটকে যায় চোরাবালিতে, আবার কখনো ভেসে চলে অজানা কোন গভীর সমুদ্রের দিকে। আর কিছু সময়, সেই নৌকা গুলো নিজেকে হারিয়ে ফেলে গভীর অন্ধকারে, যেখানে তারা জানে না, কে তাদের উদ্ধার করবে, আর কতটা পথ বাকি রয়েছে।

যদিও কিছু নৌকা সূর্যের প্রথম রশ্মির মতো আশার সঞ্চার করে, তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের দৃশ্যমানতা খুবই কম। প্রবাহের সাথে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা, তারা ভুলে যায় তাদের পালের সত্যিকারের উদ্দেশ্য; ভুলে যায় তাদের অগ্রসর হওয়ার পথ এবং সত্যিকারের সম্ভাবনা।

এই শূন্যতাকে ঘিরে, নতুন একটি উপলব্ধি উদিত হয়—যে প্রজন্মগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যহীনতার মাঝে বেড়ে ওঠে, তাদের অভ্যন্তরীণ শূন্যতা আর বিকৃত স্বপ্নের মুখোমুখি হয়। তারা নিজেরাই একেকটি বিচ্ছিন্ন সত্তা হয়ে ওঠে, যেখানে প্রাত্যহিক চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে তাদের সংগ্রাম শুধু তাদের অস্তিত্বের প্রতি উদ্বিগ্নতা বাড়ায়।

তবে, এই নৈরাশ্যের মাঝেই লুকিয়ে থাকে নতুন প্রেরণার সম্ভাবনা। একটি উদ্দেশ্যহীন প্রজন্মের ভেতরে, আদতে, সৃষ্টির অনন্ত ইচ্ছা এবং বৈচিত্র্যময় সম্ভাবনার মণি-মুক্তা চিহ্নিত করা যায়। প্রয়োজন একটি দিশা, যা তাদের মনে আত্মবিশ্বাসের আলো জ্বালাবে। এটাই তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রতি অবিশ্বাসের পরিবর্তে, আত্মবিশ্বাসের প্রেরণা যোগাবে।

যদি আমাদের সমাজ এই গভীরতার মধ্যে থাকা তাদের সম্ভাবনার সন্ধান করতে পারে, যদি তারা নিজেদের উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হয়, তাহলে তাদের 'দিশাহীন নৌকা' একদিন অনন্য উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বময় সাফল্যের তরী হয়ে উঠবে। সত্যিকার অর্থে, এই প্রজন্মের অদৃশ্য পটভূমির মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক নতুন পৃথিবীর সৃষ্টির সম্ভাবনা, যা শুধু দিকনির্দেশনা ও সহায়তার অপেক্ষায় আছে।"


---

এই অংশটি প্রজন্মের নৈরাশ্যের প্রেক্ষাপটে তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি এবং সম্ভাবনার উপর আরও গভীরভাবে আলোকপাত করে, যা একটি নতুন প্রেরণার জন্ম দেয়।