ভোর বেলা সূর্য লাল রশ্মি ছড়ায়। শীতের কুয়াশাকে ভেদ করে বাহির হলাম। দেখি সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের দানা, মুক্তার মতো ঝলমল করছে।
স্রষ্টা নিপুন হাতে সাজিয়েছে প্রকৃতি। প্রকৃতি মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দেয় শৈশবের সোনালী জীবনের কথা। বিলের জলে পদ্ম ফুল তোলা, রঙিন সুতোই ঘুরি উড়ানো, পুতুলের বিয়েতে কান্না করা, আরও কত কী।
শৈশবের আর একটি মজার কথা। আমার নাম পিংকি কিন্তু আমার সহ পাঠীরা আমাকে টেংকি
বলে ডাকতো। তখন ভীষণ রাগ হত কিন্তু এখন
হাসি পায়।
শৈশবের ছোট্ট একটা কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। সেই কবিতাটি আমি আমার বোনকে নিয়ে লিখে ছিলাম।
সেই মেয়েটি
তার অপলক চাওনিতে প্রকৃতি শিহরায়,
হাসিতে বাতাসে বেলীফুলের সুগন্ধ ছড়ায়।
দুতলা বাসের জানালার ধারে বসে,
দমকা হাওয়া এসে তার অমলিন চুলে ঢেউ তুলে,
রূপেতে অনন্যা
ঝড়া বকুলের মত ওর কান্না
সে আমার বোন সুকন্যা।
সময়ের সাথে-সাথে মানুষের জীবন বদলে যায়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এ নিয়মের বাইরে কেউ নেই।
আমি উড়ন্ত বয়সের বাড়ন্ত মেয়ে,
শৈশবের দিনগুলো কাটিয়েছি আনন্দ নিয়ে।
আমার শৈশবের কিছু স্মৃতি আমাকে একা একা হাসতে বাধ্য করে। বন্ধুদের নিয়ে কাঁদায় গড়া-গড়ি, পুকুরে সাঁতার কাটা, বন্ধুদের নিয়ে টক ফলগুলো চুরি করা আম, জাম, পেয়ারা, বড়ই এইসব চুরি করে খাওয়া।
ফলে-ফলে ভরা
তরুলতায় ঘেরা
সবচেয়ে সেরা আমাদের গ্রাম।
This is a premium post.