ছেলেটাকে দেখেই মনে হল, এ রিক্সাওয়ালা নয়।গোলগাল চেহারা, উজ্জ্বল গায়ের রঙ, লাবন্যতার কমতি নেই, চুলগুলো যেন পরিপাটি সাজানো। এমনিতেই অফিসের দেরী হয়ে গেছে। সামান্য খেয়েই বাসা থেকে বের হয়েছি মাত্র। রিক্সা ডাকবো, তখনই ছেলেটা এসে হাজির। স্যার কই যাবেন, উঠেন স্যার। একটু হোঁচট খেলাম। এতটুকু ছেলে, এ বয়সে ব্যাগ কাঁধে করে স্কুলে পড়তে যাবে, তা না রিক্সার হাতল ধরেছে। মনে মনে ওর বাবা মায়ের উপর কিছুটা রাগও হল।রিক্সায় উঠে ওকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি পড়ালেখা না করে রিক্সা চালাও কেন? ওর কথাগুলো শুনে কেন জানি এমনিতে চোখের জল গড়িয়ে পড়লো।
ওর নাম রাজা, বড় শখ করে রেখেছিল তার দাদা। ছোটবেলা রাজপুত্রের মত দেখতেছিল, তাই এ নাম। বাড়ি উত্তরবঙ্গের কোন এক উপজেলা শহরে তিস্তা নদীর পাড়ে। তাদের অনেক জমি ছিল, ছিল গোলা ভরা ধান, গরু ছিল, ছাগল ছিল। চার রুমের পাকা বাড়িতেই তাদের সুখের দিন কাটছিল। স্থানীয় একটা বিদ্যালয়ে ক্লাস টেনে পড়তো সে। পি এস সি, জে এস সি তে ছিল A+। পরিবারের সবাই এমন কি বিদ্যালয়ে শিক্ষকগন তাকে নিয়ে বেশ গর্ব করত। বলত - এ ছেলে একদিন দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। গত টেস্ট পরীক্ষাতে ও খুব ভাল করেছে সে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, প্রকৃতির দয়াহীনতায় গত দু'বছর আগে, বন্যার পরে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে । যার ফলে জমিজমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয় তারা। আত্মীয় স্বজনের নি