Posts

ফিকশন

অপ্রস্তুত মুক্তি।

May 12, 2024

Shoaib ahmed

Original Author শোয়াইব আহমেদ।

বরাবরের মত আজও হাঁটতে বের হলাম। জানুয়ারির শুরু এটা। আয়োজন করে শীত নামছে। ব্যক্তি দস্তুর পার হয়ে শীতলতা ছড়িয়ে পড়েছে পরিশ্রমী মানুষের চায়ের ব্রেকে। চায়ের ধোঁয়া কুয়াশায় মিশে একাকার ধারণ করছে।

 

স্টলের পাশেই নির্মাণাধীন বহুতল বিলাসী ভবন। গেটের কাছের বিল বোর্ডে মোটা কলামে নিরাপত্তা নির্দেশনা। হেঁটে আগাতেই চোখে পড়লো অনাস্রয়ে শুয়ে থাকা কুকুর পরিবার। তাদের দহনে আরেকটু ভারী হয়ে উঠল গ্লানি, অনীহা আর কথার ভারে পৃষ্ঠ আমার বক্র ব্যক্তিত্বের।

 

হঠাৎ কী যেন হল। কুকুর পরিবার ছিটকে গেল বহু দূর। স্টলের মানুষ চা ফেলে ভোঁ দৌড় দিল। বুঝলাম না কী হচ্ছে। তবে আমার কেন যেন হটাৎ অনেক হালকা মনে হতে লাগল। এক মুহূর্তে মনে হতে লাগল জগতে আমার চেয়ে সুখী কেউ নেই। কেমন যেন উড়নচণ্ডী হাওয়া বয়ে গেল কানের কাছ দিয়ে। লক্ষ করলাম, দূরত্ব বজায় রেখে বহু মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে অভাগা দৃষ্টিতে। সাথে ওই কুকুর পরিবারও। পরমুহূর্তে এসব মাথা থেকে ছেঁটে ফেলে বিদ্যমান মুহূর্ত উপভোগে ব্যস্ত হলাম। মাথা উঁচু করে মন খুলে গাড় টান দিলাম চুরূটে। আশ্চর্য কোনো প্রভাব ফেলছে না কেন চুরূট। চোখ মেললাম। স্থির হয়ে লক্ষ করলাম বিলাসী ভবনের অংশ বিশ্বেষ ধেয়ে আসছে আমার শরীর বরাবর। শংকায় হাত,  দুমরে নিল আমার অশ্রুহীন চোখ। ধ্বংস বিশেষ ভূমি আঘাতে ছিন্ন হওয়ার শব্দ শুনে চোখ হতে হাত সরালাম। একি! কিছুই যে হল না আমার? কুকুর পরিবার আবারও একযোগে ডেকে আরেকটু দূরে দৌড় দিয়ে তাকাল আমার দিকে। জড়ো হওয়া লোকজন আরেকটু সরে দাঁড়াল। তাদের দৃষ্টি আরও প্রখর হল। অনেকে ভবনের উপরি ভাগে তাকিয়ে নিজেদের ভিতরের পশু পদর্শন করল।

 

আমার নাকে তীব্র আয়রনের ঘ্রাণ আসলো। উৎস সন্ধান করতে গিয়ে লক্ষ করলাম আমার পিছনে পড়ে আছে একটি দেহ। যার মাথা সিমেন্টের বড় চাকায় দলিত। আশ্চর্য!! এই দেহ আগে কেন দেখলাম না আমি? আর সে হুবহু আমার মতো কাপড় কেন পরে আছে? তামাকের আগুন রক্তে নিভে এক মাতাল করা ঘ্রাণের আবিষ্কার করছে। আরেহ, ঘড়ি, ব্রেসলেটও তো আমার মতই। এ…এ কে?

Comments

    Please login to post comment. Login