পোস্টস

ভ্রমণ

পথের ভিখারিনী

১০ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

খোঁজ খরব কিছুই জানি না। একদিন দেখি ভিক্ষা করছে গাইবান্ধা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে। কে জানেন?
আমি বলছি এক বৃদ্ধ মহিলার করুণ কাহিনী। তার পরনে কালো বোরকা। বোরকা দিয়ে মুখ ঢাকা। ভিক্ষা করছে।
আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন আমি সবকিছু বাদ দিয়ে কেন এক পথের ভিখারিনীকে নিয়ে এতো কিছু লিখছি। বুঝবেন, যদি পুরো কথাগুলো পড়েন।


তাহলে প্রথম থেকে শুরু করা যাক। আমি, আব্বু-আম্মু আর আমার ছোট ভাই সবাই মিলে নানুবাড়িতে যাচ্ছি। সেখান থেকে মামির বাবার বাড়িতে যাবো। দাওয়াত আছে। তাই যাওয়ার সময় রিক্সা করে গাইবান্ধা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে আসলাম। আব্বু মিষ্টি আনতে গেলো। আমরা রিক্সায় অপেক্ষা করতে থাকলাম। তখনই লক্ষ্য করলাম, ঐ বৃদ্ধ মহিলাকে। সাধারণভাবে ভিক্ষা করছে। কেউ দিচ্ছে ২ টাকা আবার কেউ দিচ্ছে ১০ টাকা। এরই মধ্যে লক্ষ্য করলাম, ঐ বৃদ্ধ মহিলা কাঁদছে। বোরকার নিচ দিয়ে চোখের পানি মুছছে। সচরাচর এসব দৃশ্য চোখে পড়ে না। আমার এমন সুযোগ ছিল না যে আমি তাকে জিজ্ঞেস করব। মনে হলো উনি গৃহস্থ গরের বউ। আজ অভাবের তাড়নায় পড়ে ভিক্ষা করছেন। হয়ত তার সন্তানেরা তার খেয়াল নেয় না। তাই তাদের জন্মদাত্রী মা আজ পথের ভিখারিনী। অথছ মুসলমানরা দোয়াতে বলেন-
❝ রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা। ❞

 

সন্তানের প্রতি যেমন পিতামাতার দায়িত্ব আছে। তেমনি বৃদ্ধ পিতামাতার উপর তার সন্তানের দায়িত্ব আছে। আজ কেন মায়েরা পর্দা ঠেলে ভিক্ষা করতে যাবেন? কেন তারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকবেন? কেন তারা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে লাঞ্ছিত হবেন?


তবে কি সেই সন্তানেরা নির্বংশ? তারা কি গরু ছাগলের থেকেও অধম নয়? অবশ্যই। তারা এর ভয়াবহ পরিনতি উপলব্ধি করলে এ কাজ আর করত না। তবে অনেকেই এ ভুল উপলব্ধি করতে পারবে না। তাদের কেমন শাস্তি হবে তা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনই জানেন। যারা এই লেখাটি পড়বেন তারা নিশ্চয় মা-বাবার খেদমত করার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ।