Maybe everything is artificial, and nothing is truly organic. Everyone is just part of a system or under a supreme command. No animal or machine can control intellectual evolution. The idea of an infinite entity comprised of all beings and things is perhaps the most enigmatic aspect of this concept. Which has no beginning or end and whose magnitude is unknowable.
It's easier for me to understand if we think of ourselves as robots with artificial intelligence.
Perhaps by establishing this entire process of birth and body-changing as part of the process of keeping ourselves updated, we have somehow forgotten that we are robots from an advanced civilization. But we no longer know how to access memories from past lives or information about previous versions of ourselves.
Still, like a mobile signal upgrading from 1-G to 5-G, our updated energy enters the body of a new generation.
নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ পাবলিক পোস্টে এই কথাগুলোই ফেসবুকে লিখেছিলেন সাংবাদিক, শিল্পী ও চলচ্চিত্রকার অনন্ত আশরাফ। গভীর মনযোগ দিয়ে পুনরায় লেখাটি পড়লেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মানে সিআইডির চৌকস পরিদর্শক শামীম সিদ্ধার্থ। স্ক্রল করে নীচে গিয়ে তিনি ঠিক আগের স্ট্যাটাসটিও পড়লেন।
Every soul travel billions of time faster than the speed of light. It is possible to refer to this pace as the soul's speed. However, the speed of each soul varies. Some souls travel swiftly; the deaths of my young buddies have sent me that message.”
এর আগের পোস্টটি পাবলিক নয়, অনলি ফ্রেন্ডস করে রাখা। মানে শুধু অনন্তের বন্ধু তালিকায় থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছেই সেটি দৃশ্যমান। যেখানে নিজের মেয়ের সাথে একটি ছবি দিয়ে বাংলাতেই ক্যাপসন লিখেছেন তিনি।
মন থেকে মহান কবি হওয়ার বাসনা বিদায়ের পর কবিতার যে স্বাদ, বা তা লিখে যে শান্তি আমি পেয়েছি; তেমনটা আগে কখনো পাইনি। যশার্জনের আকাঙ্খা মরে যাওয়ার পরই নিজের শিল্পী, সাংবাদিক ও নির্মাতা সত্তার সহাবস্থানকে আর ঝামেলার মনে হয় না। বরং এখন গান, সংবাদ বা চলচ্চিত্র সবই উপভোগ করতে পারছি। তবে সন্তান হওয়ার পর পুরুষের কোনো সত্তাই আর পিতৃসত্তার চেয়ে দাপুটে থাকে না বোধহয়। মানুষসহ তামাম প্রাণীকূলের সাথে সামগ্রিক সত্তা যেসব ভাষায় কথা বলে, সেসবের মধ্যে সবচে নির্মল বোধকরি শিশুদের অভিব্যক্তি; বিশেষত নিজ সন্তানের।
অনন্ত ও সিদ্ধার্থ পরস্পরের পুরানো বন্ধু। কৈশোরে কবিতার সূত্রে আলাপ প্রায় সমবয়সী এই দুজনের। লিটলম্যাগচর্চা, মানে একত্রে কবিতার কাগজ করতে গিয়ে বেড়েছিল ঘনিষ্টতা। অনন্ত নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকেই তাই মনে মনে পুড়ছিলেন সিদ্ধার্থ। মামলাটি মিরপুর থানা তদন্ত করছিল বলে বিগত নয়টি মাস তিনি অফিসিয়ালি কিছুই করতে পারছিলেন না। অবশেষে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
টেলিভিশন আর অনলাইন গনমাধ্যমের সুবাদে পুরান ঢাকার মহানগর আদালতের এই আদেশ সিআইডির মালিবাগের অফিসে পৌঁছাতে খুব একটা সময় লাগেনি। তখনও সিদ্ধার্থ জানেন না, তিনিই এই মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হতে যাচ্ছেন। স্রেফ বন্ধুত্বের খাতিরেই অনন্ত নিখোঁজ হওয়ার কারণ আন্দাজের চেষ্টা করছিলেন। তিনি ‘Disappearance of Ananta Ashraf’ শিরোনাম দিয়ে নিজের ল্যাপটপে একটা ওয়ার্ড ফাইল খোলেন। মাত্রই পড়া অনন্তর শেষ পোস্ট তিনটি প্রকাশের তারিখ ও সময়সহ ফেসবুক থেকে ওয়ার্ড ফাইলে কপি করে রাখেন। পরবর্তী দুটি ঘন্টা তিনি এই কাজই করতে থাকেন।
অনন্ত সর্বশেষ তাঁর যে চিন্তাগুলো প্রকাশ করেছিলেন, তার একটা ঢাউস সংকলন করে ফেললেন সিদ্ধার্থ। তিনি খেয়াল করলেন, লেখাগুলো ইংরেজীতে হোক বা বাংলায়; সবগুলোর শেষেই হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে ‘randomthoughts’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে। তাঁর মনে পড়ে এমন ‘#randomthoughts’ শিরোনামে প্রচুর খেরো খাতা রয়েছে অনন্তর।
বসের ডাক আসায় চিন্তায় ছেদ পড়ে সিদ্ধার্থের। তিনি ওয়ার্ড ফাইলটি প্রিন্টের কমান্ড দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান। বসের রুমের দিকে যেতে যেতে পকেট থেকে মুঠোফোনটা হাতে হোয়াটসঅ্যাপে অনন্তর সাথে নিজের চ্যাট হিস্ট্রিটা বের করলেন। সেখানে দেখলেন তারা সর্বশেষ অনন্তর যে লেখাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, সেটির শিরোনাম ছিল ‘মৃত্যু’। সিদ্ধার্থ মনে করেছিলেন সেটি কবিতা। কিন্তু অন্ততর দাবি ছিল এটি গান; পরবর্তী সাক্ষাতে গেয়ে শোনানোর কথাও বলেছিলেন। তাদের সেই সাক্ষাতটি আর হয়নি। কিন্তু লেখাটি সিদ্ধার্থের মনে গেঁথে আছে।
বুকের ভিতর শুনেছি যার পদধ্বনি
ক্রমাগত আসছে কাছে প্রতিক্ষণই
সে ছাড়া কেই-বা এত কাছে আসে
সদাই যে ঘন্টা বাজায় শ্বাসে শ্বাসে
তাল-বেতালে মনে বাজে আগমনী
আনচান তার সুরটা খুব কাছে শুনি
ডানা মেলে দূরাকাশে আনমনা চোখ
আর কতটা সময় বাকি করতে পরখ
না থাকার মানে বোঝার অপেক্ষাতে
অজানার স্বর গাঢ় হয় রাত-প্রভাতে
যেন শেষ হতে চায় সুদীর্ঘ গান কোনো
কোথাও যা কেউ সত্যি গায়নি কখনো
গল্পের এই পর্যায়ে অনন্ত ও সিদ্ধার্থের বন্ধুত্বের গভীরতার বিষয়ে পাঠককে কিঞ্চিত ধারণা দেওয়া দরকার। তাহলে তাদের ভাবনা ও আলাপের পরম্পরা বোঝা কিছুটা সহজ হবে আশাকরি। নয়তো ২০২৪ সালের বাংলাদেশে বসে চল্লিশ ছুঁই ছুঁই দুই যুবকের আঁতলামি ভরা সংলাপ মাথা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একটা উদাহরণ দেই।
সিদ্ধার্থ: No matter what religion we follow, a sincere believer is never dissatisfied. Every faith teaches us to be thankful to the Creator for everything. Believers only become angry with others when their faith begins to fade. Believers are incapable of being furious, even with themselves.
অনন্ত: Someday, people will stop fighting. They will lose track of all geographical boundaries. No one will harm others when they fully understand that all are one. Humans will then lose the ability to kill any species as well. That will be the beginning of human civilization. Then, earlier civilizations would be considered barbaric. We are generations of those savage eras. Some of us are trying to reduce the toxic wave of our thinking. Maybe in millions of years, future generations will enjoy the dividends.
পেশাগত কারণে ইংরেজি ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টায় দুই বন্ধু প্রায়ই পরস্পরের সাথে ভিনদেশী এই ভাষায় বাতচিত করতেন। যে কারণে তাদের চ্যাট হিস্ট্রিতে জমে আছে বহু বছরের এমন অজস্র আলাপ। তাদের ঘনিষ্টতা গাঢ় আরেকটি অন্যতম কারণ ছাত্রাবস্থায় তারা দুজনে একই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে বেড়িয়েও গিয়েছিলেন একত্রে। দুই দশক আগে সেই ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিদ্রোহী হয়েছিলেন তাদের মতো অনেকে। রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের ব্যবহৃত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা।
সেই ঘটনার পর অনন্ত ও সিদ্ধার্থ দুজনেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেলেও তারা দুজনেই কৃতজ্ঞ ছিলেন নিজেদের ফেলে আসা সংগঠনের প্রতি। তারা বিশ্বাস করতেন, লোভকে লাগাম দিতে শিখিয়ে দুনিয়ার প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা গড়ে দিয়েছে রাজনৈতিক সচেতনতাই।
চলবে..