রাত গভীর। ছোট্ট একটি ছেলে তার বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ বাইরে থেকে পায়ের আওয়াজ ভেসে এলো। ভয়ে সে চোখের পাতা অল্প খুলে দেখার চেষ্টা করল।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি। মুহূর্তের মধ্যে দরজাটা ধীরে ধীরে খুলে গেল। সামনে দাঁড়িয়ে সেই লোক—তার হাতে ছেলেটার মা-বাবার নিথর দেহ।
ছেলেটার শরীরে যেন রক্ত জমে গেল। লোকটা নিঃশব্দে মৃতদেহগুলো একটি চেয়ারে বসিয়ে দিল। তারপর তাদের দেহ থেকে রক্ত নিয়ে দেয়ালে কিছু একটা লিখল।
এরপর লোকটা ধীরে ধীরে ঘরের মেঝেতে শুয়ে বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়ল।
ভয়ে ছেলেটার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। সে জানত, লোকটা তার বিছানার ঠিক নিচে। কিন্তু সে চিৎকার করতে পারছিল না। তাই ভান করল যে সে ঘুমিয়ে আছে, কিছুই জানে না।
ঘরের নিস্তব্ধতা যেন আরও ভারী হয়ে উঠছিল। সময় গড়িয়ে যাচ্ছিল। টিকটিক ঘড়ির শব্দ আর লোকটার ভারী নিঃশ্বাস ভয়কে আরও গভীর করছিল।
এক ঘণ্টা পার হলো। ছেলেটার চোখ ধীরে ধীরে অন্ধকারের সাথে মানিয়ে নিল। সে দেয়ালের দিকে তাকাল। রক্তে লেখা সেই কথাগুলো পড়ার চেষ্টা করল।
শেষ পর্যন্ত, লেখাটা স্পষ্ট হলো।
দেয়ালে লেখা ছিল—
"আমি জানি তুমি জেগে আছো।"
ছেলেটার বুক ধক করে উঠল। ঠিক তখনই, বিছানার নিচে থেকে কিছু একটা নড়ে উঠল।