কবিতা সবকিছু ছোঁয় না, সবকিছু এসে কবিতাকে ছুঁয়ে যায়।
সবকিছু নিয়ে কেন ছড়া লিখতে হবে? অনেকে যা-তা নিয়ে দেদারসে বিস্তর ছড়া লিখে যাচ্ছেন। ওসব নিয়ে ছড়া লেখা উচিত? ইদানিং কিছু ছড়াকার ছড়ার ভিতর মানে- এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন... মানে কি- কি যে নিয়ে... মানেটা আসলে কি নিয়ে যে ছড়া লিখছেন তিনি নিজেও জানেন না। আর সেটা ফেসবুকে পোস্ট করে দিন শেষে দেখি- দিনের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার, কোথায় থেকে বানানো রঙিন ব্যানার একটা ফেসবুক পেজে টাঙিয়ে দিবে।
ব্যক্তি সমালোচনা আমি করিনা , এসব করলে নিজের ভিতর ঘৃণা জন্ম হয়। কারো সমালোচনা করলে আমার নিজেকে অত্যন্ত ছোট লাগে ।
কিন্তু কবিতা বা ছড়ার নামে হাগা মুতা পোস্ট করলে নিজেরে একবারে কলঙ্কিত লাগে। ছড়ার ভিতর কবিতার ভিতর সবকিছু আনতে হয় না, একটা ছড়া বা একটা কবিতা গল্প নয়। এটা বুঝতে হবে। গল্পের ভিতর উপন্যাসের ভিতর সচিত্র প্রতিবেদন আঁকা যায় । কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন, কারণ কবিতার চিত্রপটে-দৃশ্যপটে অথোবা মঞ্চসজ্জায় যা থাকে তার চেয়ে অধিক সেই কবিতাটা বুঝায়। একজন কবির এই বোধ অন্তত থাকা উচিত- যেন তার কবিতাটা অখাদ্য না হয়। তার কবিতা পাঠ করে পাঠকের মনে যেন কুরুচির জন্ম না হয় অথোবা একজন পাঠকের যেনো কবিতার প্রতি অনীহা'র জন্ম না নেয়।
লেখার ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে, আপনার কলমের কালি সাহিত্যের জন্য প্রস্ফুটিত হোক, মঙ্গলের জন্য প্রস্ফুটিত হোক, সৃষ্টির জন্য প্রস্ফুটিত হোক কিন্তু সেই কালি যেনো সত্যি সত্যি কবিতার সৃষ্টি করে।
দিনশেষে ফেসবুকে সার্টিফিকেট সাজানোর জন্য যদি যা-তা লিখে কবিতার নামে চালিয়ে দিতে চান প্লিজ ভাই আপনি এসব বাদ দিয়ে অন্য ধান্দা করেন । একদম মন না মানলে ঘরে বসে রমনীর রূপচর্চার প্রশংসা করেন। এতে করে তার মনও পাওয়া যাবে রাধাও নাচবে । শুধু শুধু কাতুকুতু দিয়ে বা সুড়সুড়ি দিয়ে কবিতা, ছড়া হয় না।
প্লিজ একটু ভাবুন । জীবনানন্দ পড়ুন, শঙ্খ ঘোষ পড়ুন। আমাদের কবিতা-পাড়ায় একজন জীবনানন্দ দাশ আছেন, এটা নিয়ে গর্ব করুন। রবীন্দ্রনাথ পড়ুন, লালন পড়ুন, হুমায়ূন আজাদ পড়ুন, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ পড়ুন। চোখ তুলে নজরুলের দিকে একটু তাকান, অন্তত কবিতা নামের কিছু পয়দা করতে পারবেন।
ফেসবুকে যারা* কবিতা লিখেন আবার সেগুলো* বইমেলায় বই* আকারে প্রকাশ করে তারপর মানুষকে ইনিয়ে-বিনিয়ে গুছিয়ে দিচ্ছেন তাদের অনেককেই জিজ্ঞেস করা হলে গতো এক বছরে আপনি কোন কোন কবিতার বই পড়েছেন বা কোন কবির বই পড়েছেন (?) বা কোন লেখকের কোন বইটা পড়েছেন? এসব প্রশ্ন করলে তুলতুলে গালটায় একটু হাসি দিয়ে বলেন- আসলে আমি তেমন সময় পায় না, ফেসবুকে পড়ি । আবার অনেকে তো বলেন যে- আমি অবসরে লিখি, মাঝে মাঝে লিখি। আর যারা এসব করেন তাদেরকে এক সাগর নোনা জলের শুভেচ্ছা। ভাইয়েরা বোনেরা প্লিজ কবিতার পশ্চাদেশে মারা বন্ধ করুন।
সবকিছু নিয়ে কেন ছড়া লিখতে হবে? অনেকে যা-তা নিয়ে দেদারসে বিস্তর ছড়া লিখে যাচ্ছেন। ওসব নিয়ে ছড়া লেখা উচিত? ইদানিং কিছু ছড়াকার ছড়ার ভিতর মানে- এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন... মানে কি- কি যে নিয়ে... মানেটা আসলে কি নিয়ে যে ছড়া লিখছেন তিনি নিজেও জানেন না। আর সেটা ফেসবুকে পোস্ট করে দিন শেষে দেখি- দিনের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার, কোথায় থেকে বানানো রঙিন ব্যানার একটা ফেসবুক পেজে টাঙিয়ে দিবে।
ব্যক্তি সমালোচনা আমি করিনা , এসব করলে নিজের ভিতর ঘৃণা জন্ম হয়। কারো সমালোচনা করলে আমার নিজেকে অত্যন্ত ছোট লাগে ।
কিন্তু কবিতা বা ছড়ার নামে হাগা মুতা পোস্ট করলে নিজেরে একবারে কলঙ্কিত লাগে। ছড়ার ভিতর কবিতার ভিতর সবকিছু আনতে হয় না, একটা ছড়া বা একটা কবিতা গল্প নয়। এটা বুঝতে হবে। গল্পের ভিতর উপন্যাসের ভিতর সচিত্র প্রতিবেদন আঁকা যায় । কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন, কারণ কবিতার চিত্রপটে-দৃশ্যপটে অথোবা মঞ্চসজ্জায় যা থাকে তার চেয়ে অধিক সেই কবিতাটা বুঝায়। একজন কবির এই বোধ অন্তত থাকা উচিত- যেন তার কবিতাটা অখাদ্য না হয়। তার কবিতা পাঠ করে পাঠকের মনে যেন কুরুচির জন্ম না হয় অথোবা একজন পাঠকের যেনো কবিতার প্রতি অনীহা'র জন্ম না নেয়।
লেখার ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে, আপনার কলমের কালি সাহিত্যের জন্য প্রস্ফুটিত হোক, মঙ্গলের জন্য প্রস্ফুটিত হোক, সৃষ্টির জন্য প্রস্ফুটিত হোক কিন্তু সেই কালি যেনো সত্যি সত্যি কবিতার সৃষ্টি করে।
দিনশেষে ফেসবুকে সার্টিফিকেট সাজানোর জন্য যদি যা-তা লিখে কবিতার নামে চালিয়ে দিতে চান প্লিজ ভাই আপনি এসব বাদ দিয়ে অন্য ধান্দা করেন । একদম মন না মানলে ঘরে বসে রমনীর রূপচর্চার প্রশংসা করেন। এতে করে তার মনও পাওয়া যাবে রাধাও নাচবে । শুধু শুধু কাতুকুতু দিয়ে বা সুড়সুড়ি দিয়ে কবিতা, ছড়া হয় না।
প্লিজ একটু ভাবুন । জীবনানন্দ পড়ুন, শঙ্খ ঘোষ পড়ুন। আমাদের কবিতা-পাড়ায় একজন জীবনানন্দ দাশ আছেন, এটা নিয়ে গর্ব করুন। রবীন্দ্রনাথ পড়ুন, লালন পড়ুন, হুমায়ূন আজাদ পড়ুন, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ পড়ুন। চোখ তুলে নজরুলের দিকে একটু তাকান, অন্তত কবিতা নামের কিছু পয়দা করতে পারবেন।
ফেসবুকে যারা* কবিতা লিখেন আবার সেগুলো* বইমেলায় বই* আকারে প্রকাশ করে তারপর মানুষকে ইনিয়ে-বিনিয়ে গুছিয়ে দিচ্ছেন তাদের অনেককেই জিজ্ঞেস করা হলে গতো এক বছরে আপনি কোন কোন কবিতার বই পড়েছেন বা কোন কবির বই পড়েছেন (?) বা কোন লেখকের কোন বইটা পড়েছেন? এসব প্রশ্ন করলে তুলতুলে গালটায় একটু হাসি দিয়ে বলেন- আসলে আমি তেমন সময় পায় না, ফেসবুকে পড়ি । আবার অনেকে তো বলেন যে- আমি অবসরে লিখি, মাঝে মাঝে লিখি। আর যারা এসব করেন তাদেরকে এক সাগর নোনা জলের শুভেচ্ছা। ভাইয়েরা বোনেরা প্লিজ কবিতার পশ্চাদেশে মারা বন্ধ করুন।