Posts

ফিকশন

মূর্তি।

December 25, 2024

Shoaib ahmed

Original Author সোয়াইব।

18
View

সে’ নামক দুঃস্বপ্ন দেখে যখন সজাগ হলাম মস্তিষ্ক তখন মুক্তির আমেজে প্রফুল্ল তবে মন যেন কেমন।

তার থেকে মুক্তির শোকর তো রয়েছে তবে তাঁকে পাওয়ার স্বপ্ন মনের কোথায় যেন সুপ্ত।

মন ও মস্তিষ্কের দোটানায় শরীর যখন ক্লান্ত লক্ষ করলাম সিলিংয়ে পড়েছে জানালার কাচে ফিল্টার হওয়া স্ট্রিট ল্যাম্পের আলো। যাতে স্পষ্ট তার মূর্তি।

চুলগুলো যেন একটু বেশিই জীবন্ত। নাকে আসছে তার চিরচেনা সেই চন্দন পোড়া ঘ্রাণ। মোহিত কণ্ঠে সে বলল ‘ভয় পাচ্ছো? কি ভেবেছিলে জায়গা পালটালে তুমি মুক্ত?’।

মনযোগ যখন মোহে রূপ নিলো তখন তার শরীর স্পর্শ করলো আমায়। মিশে যেতে লাগল সে আমার রক্ত, মাংস, কলিজা, ফেপসায়। তার অধর  আমার গলা ছুয়ে কড়া নারল মস্তিষ্কে। হৃদয় হল লালশা গ্রস্থ। শরীর প্রভাবিত। মস্তিষ্কে তুমুল রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া। ঠোঁট সবকিছুর বিপরীতে গিয়ে আওড়াতে লাগল ‘আমি আশ্রয় পার্থনা করছি ভোরের স্রষ্টার……।

উদ্যত হয়ে সে বলল ‘আয়াতের প্রভাব মনে প্রভুর উপস্থিতিতির সাথে। তুমি তো তাঁকে স্মরণেই উদাসিন।’

দিগন্তে কেউ জাগ্রত হয়ে একত্ববাদের সাক্ষ্য দিতে লাগল। ব্যাঘাত ঘটল মোহে। সাক্ষ হতে লাগল স্পষ্ট আর সে অস্পষ্ট। কাটতে লাগলো মোহ, মস্তিষ্ক হল সক্রিয়, যেতে যেতে সে বলল, ‘আমি তোমার মস্তিষ্কে থাকি, মনের মুক্তি কামনা অনর্থ।’

চোখ খোলার পর ধীরে ধীরে ফিরে আসলো পরিচিত আবহ। ঘড়ির কাঁটায় রাত তিনটে আঠার। এসময় আজান কে দিল? চোখে অন্ধকার সয়ে আসলে উঠে বসলাম। মেঝেতে স্পষ্ট কয়েকটি প্রজাপতির কেটে পড়া নীল ডানা। পিপাসায় গলা কাঠ। পানি ঢাললাম পোনে এক লিটার। তা পেরলো না তৃপ্তির চৌকাঠ।

আবার আতঙ্ক কোন এক আগত রাতের। নক্ষত্র যেদিন আসবে নির্দিষ্ট রেখাপথে । রাত হবে সংক্ষেপ। তার আতঙ্কে আছি না অপেক্ষায় তা ঠাহর করা দুরূহ। 

Comments

    Please login to post comment. Login