কুকুরটি প্রতিদিন ভোরবেলা মন্দিরে আসতে শুরু করল। শ্যামলবাবু তার নাম রাখলেন “ভক্তু।” ভক্তু প্রতিদিন ভক্তিময় ভঙ্গিতে মূর্তির সামনে বসে থাকত। পূজার ঘণ্টার শব্দ শুনে সে মাথা নত করত। পূজা শেষে শ্যামলবাবু যখন ভজন গাইতেন, তখন ভক্তু যেন তার নিজের মতো করে গলা মেলাত।
গ্রামের কিছু মানুষ মন্দিরের সামনে ভক্তুকে দেখতে পেত। প্রথমে তারা এটা এক সাধারণ ঘটনা বলে ভেবেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা বুঝতে পারল, এই কুকুরটির আচরণে গভীর কিছু রয়েছে।