এরপরেই দলনেতা হিসেবে লুনার পুরো নাম ঘোষণা করা হয়। নামটি ঘোষণার সাথে সাথে বাঁ পাশের বেঞ্চের একজনের চোখ তার উপর নিবদ্ধ হয়ে যায়। এত দ্রুত লোকটি ঘাড় ঘুরিয়ে তার দিকে তাকায় যে লুনাও অবাক হয়ে যায়। লোকটির নাম জহির। জহিরের চোখে মুখে প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে লুনা এখানে কীভাবে কেন? আর লুনার মনেও প্রশ্ন জহির সাহেব এখানে কেন? লুনার বুক ধ্বড়ফর করা শুরু হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। মঞ্চে ডাক পড়ে গেছে। সুতরাং তাঁকে যেতে হবে মঞ্চে। মঞ্চে গিয়ে স্বভাবসুলভ স্বাভাবিকতায় সে বক্তৃতা শুরু করে। মাঝে মাঝেই লোকটির দিকে চোখ যায়। কিন্তু লোকটি তার দিকে আর তাকায় না। সেটা খেয়াল করে লুনা। বক্তৃতা স্মার্টলি চালিয়ে যায়। বক্তব্য শেষে লুনা নিজ আসনে বসে। মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে যায়। ইনবক্সে নক করে জহিরকে।