তুমি তার ব্যাপারে কি জানো?
সে সুন্দর্যের সাহিত্য চর্চা আবার গালিও।
সে ফুল তবে বাগানে ফুটে না,
হাতে আঁকা রেখা দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না।
সে আকাশে দেখলে মেঘ বোনে যায়,
যার দিকে তাকায় সে পাগল হয়ে যায়।
মহল্লার সকল ছেলে তার জন্য বরবাদ,
রুপবতী, সুন্দরীর ন্যায় শব্দ তার জন্য আবাদ।
সে কবিদের আর্তনাদ, মাদপ্যের ঘোর,
তার জালানার নিচে মহল্লা হাজার মজনুর।
ওই সব বস্তু ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে যা সে ছুয়েছে।
সে ওই কবিতা যা আল্লাহ নিজে লিখেছে।
নক্ষত্রে প্রসিদ্ধ সে,
পূর্ণিমার চাঁদের হিংসে।
জমিন পদ চুম্মুন করে,
জগৎ তার কেন্দ্রেই প্রদক্ষিণ করে।
তাঁকে স্বপ্নেও ছোয়া নিষিদ্ধ।
সকল রূপবতীর রূপ
তার ছায়ায় সীমাবদ্ধ।
লোকেরা এত পান করা হয়েছে তার নেশায়,
মদশালা শুকিয়ে গেছে।
এত চাওয়া হয়েছে তাঁকে,
খোদার নিচে নামতে হয়েছে।
খোদা বলল,
অনেক হয়েছে আর এমন না আমি বানাবো।
তারা বলল,
তাহলে আমরা এক তরফা আশিক হয়ে থাকবো, ভালোবাসা না পেলে ভক্ত হয়ে মরবো।