হৃদয়ের দিকে কেন তাক করো বোকা বন্দুক?
খুব বেশি বিরক্ত করছে কী ক্বলবের ধ্বনি?
কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ।
অতএব শান্ত হয়ে শুনে যাও এই সিম্ফনি-
সেই কবে ডেকে নিয়ে বলেছিল খোড়া তাইমুর,
“এসব শায়েরি লিখে কতটুকু কামাও প্রফিট?”
জবাবে বাজালো কেউ কতিপয় ঝাঝালো ঝুমুর,
“কবিতার ক্যাটাপোল্ট ভেঙে ফেলে বিভেদের ইট।”
বুখারা, সমরখন্দ, আলেপ্পো কিংবা দামেশক;
জানি না তা প্রেয়সীর তিল থেকে বেশি দামি কিনা।
বাণিজ্য বুঝি কম, খানিকটা বুঝি শুধু এশক-
বলে দিন, ক গ্যালন রক্তে যাবে এইসব কেনা।
খোদার খোদাইকৃত সমুদয় সঠিক আয়াত
মগজের মৌচাকে প্রত্যহ করে গুনগুন!
অক্ষম অনুবাদে সেগুলোকে লিখে ফ্যালে হাত
ক্রমশ বেড়ে ওঠে এই আত্মহুতির আগুন।
আমাকে হত্যা ক’রে তারপর সেই আসাসিন,
মৃত্যুদন্ড দিলে- গিলে নেয় গোটা গিলোটিন!