এই নাটক থেকে বিনেশ বের হওয়ার চেষ্টা করে অনেক তবে তা পারছিলোনা।একসময় সে মস্তবড় ভুল সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলে। সে তার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। তার কাছে শুরুতে জিনিসটা খুবই সহজ আর সাধারণ মনে হলেও।
ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারে সে ভুল করে বসেছে। কিন্তু সে যে আর ফেরত যেতে পারছেনা। তার মায়ের ভয়ে। তার মনে হচ্ছিল তার মা এবার বোধহয় তাকে মেরেই ফেলবে।
বিনেশ কোনো উপায়ন্ত না দেখে তার চাচাতো বোন জাবেলার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং সফলও হয়ে যায়। সে যেখানে ছিলো তার কাছেই তার এক ফুপু ছিলো।
বিনেশ তার বোনের কাছ থেকে ওনার নাম্বার জোগাড় করে। কিন্তু তার হাত থেকে ততোক্ষণে ফোন কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ও খুব ভয় পাচ্ছিলো। ততোক্ষণে সে জানতে পারে তার আব্বু তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
কিন্তু মনের মধ্যে থাকা মায়ের প্রতি জেদ আর ভয় তাকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো বারবার।
শেষ মেষ তাকে খুঁজে পাওয়া গেলো।তাকে আশ্রয় দিলো সেই ফুপু। যার ছেলের সাথে কোনো একসময় তারই বিয়ের কথা চলছিলো।
আল্লাহর রহমতে তারসাথেই বাঁধার পরেও বিয়ে হয়ে যায়। সে মেঘ না চাইতেই পেয়ে যায় বৃষ্টি। ধীরেধীরে সব স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু মেয়েটা খুব সহজে এসব ভুলগুলো ভুলতে পারছিলোনা। বছর ঘুরতেই তার সংসার এ আসে ছোট্ট একটা সোনামণি।সে সবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে থাকে।
গল্পটা এখানেই শেষ হলে পারতো। কিন্তু সমাজ যে তাকে একচুল ছাড় দেয়নি।সে যেখানেই যায় তাকে পালিয়ে যাওয়ার তকমা দিয়ে দেয় লোক এ। তার স্বামীকেও এসব সহ্য করতে হয়েছে। সে কারো কাছে এসব বলতে পারতোনা। একা একা কাদঁতো।একাই সব হজম করতো।
আস্তে আস্তে বিনেশ প্রতিবাদি হয়ে উঠে। নিজের জন্য লড়াই করতে শিখে যায়। কাউকে তার সম্পর্কে কোনো কথা বলার সুযোগই সে দেয়না এখন।
এই গল্পে ২ জন মানুষের বিরাট ভূমিকা ছিলো এক বিনেশের আব্বু,,দুই বিনেশ এর স্বামী। তাদের সার্পোট না পেলে হয়তো বিনেশ আজকে এই পৃথিবীতে থাকতোনা।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক বিনেশ আছে। যাদেরকে আমরাই গলা টিপে মেরে ফেলি। কখনো নিজের মা হয়ে,, কখনোবা ভুল সম্পর্ক হয়ে,, নয়তো ভুল সমাজ এ তাদের জন্মের মধ্যদিয়ে।