গ্রামটা খুব একটা বড় নয়। একটা রেললাইন গেছে এর মধ্য দিয়া। দিনে ১ টা রেলগাড়ী আসে,, রাতে তা আবার বেরিয়ে যায়।লোকজন ও হাতেগোনা সমান।
গ্রামের দক্ষিণ দিকে একটা ছোট ঝুপড়িতে থাকে মতিরা। সেখানে তার দাদী আর সেই থাকে। মা, বাপ আর একটা ছোট ভাই ছিলো মতির।কিন্তু ভাইটা মরলো পানিতে ডুবে। তার কদিন পরই তার বাপজান রেললাইন ধরে যাইতাছিলো সদর এ। রেল এর হুইসেল গেলোনা তার কানে। পড়লো কাটা,, মরলো বেটা সেখানে।
এতো শোক এর পরেও মতির জীবন থাইমা থাকেনাই। কারণ তার মা ছিলো তার কাছেই। কিন্তু ভাগ্য বেশিদিন তার সাথ দিলোনা।
মাকেও একরাতে হারায়ে ফেললো ১১ বছর এর মতি। তার মনে হইতাছিলো সে আর বাঁচবোনা। কিন্তু ছোট মতি জানেনা কেমনে মরতে হয়।
এখন তার একমাত্র ভরসা তার বুড়ো দাদী। বয়স এর ভারে বেশিরভাগ দিন বিছানা থেকে উঠতে পারেনা বুড়ি।
দুইজনেরই পেটে দানাপানি নেই গত ২ রাত থেইকা। শেষ বার পাশের বাড়ির সবুরার মা এসে দাদী,নাতীকে কয়ডা চিড়া আর গুড় দিয়ে গেছিলো। ঐ খাবারই খাইছে ১ দিন আগে রাতে।পেটের দায়ে বুড়ি উঠে লাঠি হাতে ভর কইরা যায় রসাই ঘরের দিকে।গিয়া দেহে তার হাঁড়ি পাতিল সব কোন বেডা চোর হারামজাদ লইয়া গেছে।