কথক এখনো প্রথম পৃষ্ঠাতে…
কলমের সাথে তার এখনো দেখা হওয়া বাকি।
আজকের অবকাশে এই অহংকার ~ হ্যাঁ হ্যাঁ, বিশ্বাস নিবিড় বিদ্যা দিয়েছিলে তবে কেড়ে নিয়েছে যথাযথ মনমতো না হওয়ার আক্ষেপে, সেইতো পুরোনো দাবি।
তাই কলম মনে মনে ভাবে নতুনত্ব কি শুধু কথার হেয়ালির খামখেয়ালি ...
নিতান্তই জিজ্ঞাসাবাদের ভাজে ভাজে কাজের আলাপে ছিল প্রবল আস্থার বিপণন ~ আজকালকার বাজারে আবেগের ভালো দাম ওঠে না, সস্তা যুগের বিবেকের বিবেচনা একজন আর কই মিলে!
পালটাতে পালটাতে বিবেক শুদ্ধিকরণ কাজের সারমর্ম এই ঝোড়ো হাওয়ায় বইছে অদৃশ্যের দেয়ালের আড়ালে।
ফিসফিস গোপন কত অভিসার।
মানবিকতা আজ ধর্ষিত সময়ের প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে...
শেষ করে দেওয়া হয়েছে অমানবিক অলিখিত নিয়ম ছন্দে।
সব ক’টা শবের দ্রোহে আজ কুৎসিত হয়েছে বিকৃত বিপ্লব।
আসলে, এ তো শুধু নতুন করে অনেক আধমরা শৈল্পিক শিল্পের পণ্য রপ্তানিরত অলৌকিক তথ্য ভাঙারির দোকানির ভান মাত্র।
মানুষ তো জলজ্যান্ত পশু মাত্র!
তবে, কেনো দিয়েছেন চেতনায় অমৃত বোধ বিদ্যা জ্ঞান - এটাই তো বেহেস্তের নিষিদ্ধ স্নান - একটু আগে পরে ঘটেছিলো বলে তাইতো মানবজন্মের কারণ বুঝলেন।
বললেন ‘বিচারক, বিচারকের ছুটি নাই’ - তাইতো, কেউ পোলাও গোস্তো পাঁচ তারকা হোটেলের মোমবাতি সাথে লাল পানিও ওয়াইন কিংবা হুইস্কির দোলে আড্ডা গল্পে মগ্ন।
আর, অপরদিকে কত মানুষ কে কি করে যে যোগায় ডাল ভাত রুটি তাতেই ক্লান্তির আবরণ মিথ্যা সত্যের জাগরণ।
এটাই স্বাভাবিক, ভারসাম্য টেকাতে, বোধ জাগাতে, প্রেরণা কাকে বলে তার সংজ্ঞা নাকি বৈশিষ্ট্য বোঝাতে মানুষের এতো সব আয়োজন, যোজন বিয়োজন অর্জন তথাকথিত সভ্য বিশ্ব গড়তে সৃজন - ইংরেজিতে কোলেটে্রাল ড্যামেজ!
কী করে থাকে শীতল মগজের মেজাজ - এতো সব অন্যায় ইতিহাসের কারসাজি ...
তাতে?
প্রকৃত মায়া আগলে রেখেছেন, সঙ্গীর বেশে যিনি, কতশত প্রাথনা শুনেছেন আপনি…
শুনছেন?
তবুও আমরা অপরাধী, আমাদের ক্ষমা - অপরাধের শেষ কবে তা কি জানি?
তাই বলে, ‘মানুষ স্বচ্ছতার প্রদীপ’ তাই বা বলি কি করে?
কারণ গুলি নিজের সাথে নিজেকেই দিয়েছে, দিচ্ছে ফাঁকি... আলোর ছলনায় কাঁদে মেঘ জোছনা তাঁর মায়া চাষি...
তবে, কেউ তেমন বেশি বুঝতে চায়নি, স্রোত ঢেউ আসে যায় যদি কিছু, তখন ঠাঁই পায় - ঠাওর করতে পারতে পারার ব্যাপকতার বিদায় ...
হ্যাঁ, সেটাই বন্ধুর বিস্ময়ের নগ্ন সন্ধির বৃথা ভেলকির ধাঁধায় - পাছে পিঁপড়া না মরে যায়।
হায়, আপস নাই...
আলোকিত হোক সকল প্রাণ - আমাদের অনবরত নকল পক্ষপাতিত্বের ফলাফলে জন্ম হোক প্রতিটি ভালোবাসার চিরন্তন সন্তান আর তাতেই আমাদের মুক্তির অভিধান।
যতই যতন হোক ততই তো করলেন।
তাই! তিনি কিংবা উনি ঊর্ধ্বে ইথারিক তরঙ্গের ভঙ্গি সেকালের স্বীকারোক্তি - যুক্তির উটকো সংকট কৌশলে একইভাবে ভবের সাবলীল নিষ্কৃতি - বিস্তৃত আঁকাবাঁকা পথটাই তো উপলব্ধি করতে পারাতে কেটেছে লক্ষ্য কোটি শতাব্দী।
এইতো ওই যে নিজস্বার্থ সেজেছে; অপেক্ষা , জোরজবরদস্তির ভ্রান্তির ধাঁধা - প্রমাণ করবেন কার তরে ~ বিধাতা?
যত মোহর লেনদেন হয় ততই প্রকৃতি হারায় স্বীয় ভারসাম্য বা তার সময়ের সূচনায় সমাপ্তি - সেই তো আমার-তোমার অক্লান্ত বিবৃত গুনগুন ক্রন্দন এর ওই আদিম আর্তনাদে একটু দেখার ছলে দাসত্বের নির্মম গণহত্যার আয়োজন...
বুঝলেন তো, আমি আর তুমি, নিহত হওয়ার কারণ আমার উপার্জন!
ওহ! সে তো সময়ের সাথে চুক্তির ফলাফলে ছলনার অধঃপতন।