নিজের ডাকনাম ভুলে গেছি বলে-
চিঠি শূণ্য কেটে গেল আরেক বিকেল।
অথচ কথা ছিল, ফিলিস্তিনের ফূর্তিবাজ যে লোকটি
বোমারু বিমান মাথায় নিয়েও প্রত্যেক বিয়েতে গাইত প্রেমের কাওয়ালি,
তাকে বিজয়ের শুভেচ্ছা আমি পাঠাব চিঠিতে।
অথচ কথা ছিল, নিজেকে নিয়ে লিখব...
এত বেশী লিখব নিজেকে নিয়ে-
বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাবে সব কাগজের।
অতঃপর যারা এতদিন
আমার অনুপম অনুভুতির করে গেছে ভুল অনুবাদ-
সেই লেখনী পড়ে তারা সব খুব করে অনুতপ্ত হবে।
অথচ কথা ছিল, পলাতক ডাইনিরা শাড়ির আঁচলে ঢেকে ওইদিন কালো কপ্টারে-
নিয়ে যাবে সমস্ত অপমৃত্যুর অভিশাপ।
কিন্তু কবিদের কথা মতো পৃথিবীতে আজ আর ঘটে না কিছুই।
ফূর্তিবাজ ওই লোকটির মগজ এখন পড়ে আছে
রাফার শরণার্থী শিবিরে।
কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না-
প্রায় পঁচে যাওয়া সেই স্তুপের উপরে
কতিপয় মাছি শুধু গুণগুণ করে যাচ্ছে ক্রমাগত যেন-
নৈশভোজন শেষে সেইসব কীটেদেরও কাওয়ালির আসর বসেছে।
সমস্ত সূচকেই আরো বেশী কমে গেছে জীবনের দাম-
আর আমি?
উদভ্রান্তের মতো প্রাচীন পুঁথিপত্র ঘেটে খুঁজে যাচ্ছি একটি ডাকনাম।