আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজনের কাছে-
কোনো এক সুস্থ সময়ে তার সাথে বসে চা খাওয়ার কথা ভেবে রেখেছি;
যেই চায়ে চিনির বদলে মেশানো থাকবে দু ছটাক ডার্ক ম্যাটার
এবং অবশ্যই তাতে চুমুক দেওয়ার মত
মহাজাগতিক ঠোঁট কবির রয়েছে।
সময়টা হতে পারে সন্ধ্যা।
কারণ অন্ধকার বিষণ্ণতা আনে,
তাই চায়ে ডুবিয়ে বিষণ্ণতার বিস্কুট গলাধ:করণ
করা আরো আনন্দদায়ক।অস্বীকার করে লাভ নেই
কবিরা প্রচন্ডরকমের ভোগবাদী এবং আমিও…
পানীয় পানের জায়গাটা হতে পারে টিএসসি
কিংবা ক্যারিবিয়ান কোন ক্যাফেটেরিয়া,
ক্রমশ পতন্মুখ ফর্সা ইউরুপের অ্যালকোহলিক বার হলেও ক্ষতি নেই।
কি এসে যায় যদি তা এসব কিছু না হয়ে
লাস ভেগাসের চোখ ঝলসানো ক্যাসিনো হয়?
নিশ্চয় কবিরা সর্বত্রই সমানভাবে নিষ্পাপ। সত্যিই কি তাই?
নাকি নিজের সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে
কবিরা বদলে দিতে পারেন পাপ শব্দটির সংজ্ঞা?
এক্ষেত্রে একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে-
যেহেতু রিলেটিভিটির সাহসী উচ্চারণে স্থান কাল ধ্রুব নয়,
তাই উল্লিখিত জায়গাগুলোর কোনো উপাদানই হবে না জমজ।
যেমন ধরুন, যদি স্থানটা টিএসসি হয়,
তাহলে চারপাশ থেকে বিরোধীর প্রতি
ভেসে আসা অকথ্য অভিসম্পাত বাধ্যতামূলক এবং
অবশ্যই কবির হাতের পেয়ালাটি চায়ের উংস হিসেবে
নিজের পরিচয় দেবে;
শুধু চা নয়, এক্ষেত্রে সামনের চেয়ারে বসে থাকবেন
শাড়ি পরিহিতা একজন শ্যামল রমণী,
আমার প্রেমময় দৃষ্টির মতোই যাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখবে ডিপ্রেশন।
আর জায়গাটা যদি কঙ্গো নদীর অববাহিকার
একটি অপরিচ্ছন্ন সরাইখানা হয়,
তবে চায়ের বদলে আমার হাতের পেয়ালাই থাকবে
নিওলিথ সভ্যতা থেকে চুরি করে আনা মহুয়ার নির্যাস
আর সামনের রমণীটি হবেন কাবার গিলাফের মতোই কৃষ্ণকায় উজ্জ্বল।আমি তার চোখ আর জুসে চুমুক দিয়ে গাঢ় স্বরে বলব,
‘পৃথিবীটা কি ভীষণ সুন্দরভাবে কুৎসিত!’