দিনশেষে কেন আর কবিদের থাকে না কিছুই?
একে একে কমে আসে যাবতীয় যা যা দরকারি।
অশ্রুও অপ্রতুল, কী দিয়ে যে পরিধান ধুঁই!
যেহেতু মর্ত্যলোকে নৈবেদ্যে টিকে থাকে নারী,
অতএব অতর্কিত একদিন কোনো নাবালক-
এ গৃহের গহ্বরে দেয় যদি উৎসাহী উঁকি:
দেখবে কাঁদছে একা কদাকার বুড়ো এক লোক-
চেহারায় লেগে আছে কবিতার কোটি বুজরুকি!
অথচ শরীরে তাঁর ছিল ম্যামথের মৌতাত,
ভালোবেসেছিল সেও বহু আগে বরফের যুগে!
তবুও যত্ন নিয়ে ওই মেয়ে শিখল না তাঁত;
বিনিময়ে বিলুপ্তি অযুত অবজ্ঞায় ভুগে...
চোখে ক্রমে ঘোর নামে, বেড়ে ওঠে জারজ এ জ্বর-
জানালার ওই পাশে হাত তুলে ডাকছে কবর।