আজ শহুরে পথঘাটের প্রাণ বৃষ্টিস্নাত
ভিজে একাকার হয়েছে অলিগলি গুলির
শান্ত বাড়ি ফেরা ব্যস্ত মানুষগুলি,
কোনোভাবে এখনও যে জীবন্ত স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণময়।
তবুও যে মনে সাধ জাগে অবিরত . . .
ছুটে চলতে,
অরণ্যের সেই ভেজা মেঠো পথ ছুঁয়ে হেঁটে চলি অদূরের তেপান্তরে সুধা গন্ধের কাছের সৃষ্টির নিরেট নিটল মৃত্তিকার খুব কাছে ...
আজকালকার এই নাগরিক কাদা মাখামাখির রাজপথ পেট্রোল পোড়া দূষণের নেশা ছেড়ে . . .
বিনোদনের শেষে যেটা খুব দরকারি . . .
বিনামূল্যের গাছগাছালির সবুজের অন্তরের গভীর আদরে,
যেখানে আগলে রাখা থাকে নিজের ভেতরের মন পিপাসার তৃষ্ণা ওই তো আবেগের উষ্ণ তৃপ্তিতে . . .
আর আমাদের,
অবুঝ সবুজের যে অনেক রং অনেক রূপ সবই তো আছে ফুটে বটবৃক্ষের মাঝের শেকড়ে ডালে পাতার আবদারে চেয়ে আছে, কোথাও . . .
দেখো, হয়ত দেখছে . . .
পাশের দিঘির ধারে ভেজা চুলের গ্রাম্য মেয়ে
একা বসে আছে আনমনে ডাগর চোখে চেয়ে . . .
তারও বুঝি আছে অপেক্ষারত প্রণয়নের প্রেম মনে মনে . . .
তো সেটার খোঁজ কেই বা জানেন ?
কোথায় কোন দূরে বা কাছের থেকে থাকার আদলে স্বপ্ন মানুষের চিরাচরিত আবেশের বেশে...
ভাবান্তরে আছে কি তার বিশেষ কোনো চাওয়া
আর কত না জানি – ‘না পাওয়া’ . . .
তবে,
কে মেলায় এসবের অঙ্ক ?
কি জানি - জানি কিনা, জানা না জানার বনিবনা,
বড্ড নিখুঁত এই বেওয়ারিস প্রাণশক্তির বিদঘুটে
জোয়ার ভাটার জলজ্যান্ত স্রোত দীপ্তির শুরুর শেষে আলোকিত প্রাপ্তি . . .
কী জানি, কে যেন জানে কোথায় কখন কে বাজায় শঙ্ক
আযানের সুর আসে ভেসে ভেসে,
এসে ডাকে যেতে বহুদূর প্রান্তের কাছে,
পৌঁছে ফিরে পাওয়ার রীতি অনুরোধে . . .
সৃষ্টির নান্দনিকতার বিস্তৃত নীতি বেঁধে দেয়া বিবিধ বিধি…
হয়ত আছে,
অজানার পথিক সেজে উচ্ছ্বাসের আশ্বাসের মেজাজে
দৃষ্টি মেলে চিরহরিতের বুকে মিশে ব্যস্ত কাজের অবকাসে,
শেষে ?
বৃষ্টির জল বটবৃক্ষ শরীর ছুঁয়ে দিঘির নগ্ন জলে এসে মিশে মাটির মমতার খোঁজে. . .
অতলের নির্যাস থেকে থাকে অপলক বিশ্বাসের অতিবাহিত কালের অবসরে, কে সে বুঝি মুহূর্তের অগোচরে।
নিরেট মুক্ত নিশ্বাসে ।