
বলিনি কখনো!
তবে কিসের মোহে ঝরে পড়ে রাত্রির শেষ তারা?
তোমার দিকে ফিরে থাকা আলোহীন প্রদীপ,
কোন ভাষায় জ্বলে ওঠে আবার নিভে যায়?
নীরবতার ওজন মেপে দেখেছো কি?
যেখানে শরীর নিজেই এক অবয়বহীন গুঞ্জন,
যেখানে দীর্ঘতম ছায়া নিজেই এক যবনিকা,
আর বাতাসের মধ্যেও অনুপস্থিতির শিরশির শব্দ।
কেউ কি শুনতে পেয়েছে?
শেষ ট্রামের ধাতব চিৎকারের ভেতর
একটি নির্বাক পক্ষী ডানা মেলেছিল—
তার ছায়া কি এখনও কাঁপে জলের কিনারে?
আমরা কি শুধুই ফেলে আসা শব্দের ঘ্রাণ?
তবে কেন শূন্যতার ভেতরে ঢেউ ওঠে?
কেন প্রতিটি বিস্মৃতির মধ্যেও এক দীর্ঘ
অস্পর্শ ভাষা থাকে?
তুমি তাকিয়ে থেকো না এভাবে—
চোখের কিনারায় যে আলো ভেঙে পড়ে,
সেও এক নিঃশব্দ চিৎকার,
এক নক্ষত্রপতনের প্রতিধ্বনি।