বেলা বয়ে যায়—
সূর্যের জীর্ণ গাত্রে জেগে ওঠে রক্তাক্ত প্রাচীন ক্ষত,
দিগন্তের কপালে ঝুলে থাকে
নিঃশেষ সন্ধ্যার ম্লান অগ্নিবিন্দু।
নীরবতার রিক্ত পাঁজরে
আত্মার ধুলো জমে—
শবযাত্রার শঙ্খধ্বনিতে
কেঁপে ওঠে শতাব্দীর শূন্য কঙ্কাল।
গোধূলির সলিলে
ভেসে চলে পলাতক ইতিহাস,
কালচক্রের ভগ্ন রথের চাকার নিচে
গুঁড়িয়ে যায় স্বপ্নের নির্জন মহাভারত।
সমাধির প্রান্তে বসে থাকে অনাদিকালের ঋষি—
তার চোখে সময়ের গূঢ় শ্বেতপদ্ম,
তার নিঃশ্বাসে ছাই হয়ে উড়ে যায়
একটা হারিয়ে যাওয়া মহাযুগের দীর্ঘশ্বাস।