Posts

নন ফিকশন

কী উত্তর দিবো?

February 13, 2025

সাজিদ রহমান

52
View

দিন কয়েক আগের কথা। ঢাকায় গেছি কাজে। এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছিলাম মহাখালি। নাম যদিও মহাখালি, এটা ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। মানুষে মানুষে গিজগিজ করে। মহাখালী এসকেএস টাওয়ারে দুই বন্ধুতে আড্ডা দিই। বন্ধুর টেস্ট ভালো। ভালো কাবাব, স্টেক খাইয়েছে। কফি খেয়ে আরাম পেয়েছি। আড্ডা শেষে ভাড়া বাইকে করে মোহাম্মদপুর ফিরছিলাম। তখন সন্ধা রাতের কাছে দায়িত্ব দিয়ে বিদায় নিচ্ছে।

২.

আগের দিন সমিতির প্রোগ্রামের উসিলায় কলিগরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। বছরে এক দুইবার এরকম আড্ডার সুযোগ আসে। তাই কথার নদী নানান দিকে ছুটতে থাকে। একথা সে কথা, আকথা কুকথা চলতে থাকে। এক কলিগ তার শ্বশুরের জেলার মানুষের ক্যারিকেচার নিয়ে কথা উঠায়। ঘরে থাকা স্যাম্পল (ভাবি) দিয়ে যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতেও চান না, কারিগরি সমস্যা আছে।

এরকম আড্ডায় বিষয় সংক্রামক রোগের মত ছড়াতে থাকে। এমনি সময়ে বোম মারলেও যার পেট থেকে শব্দ বের হয়না, আড্ডায় সেও অন্যের কথার স্লটে ভাগ বসায়। অন্য একজন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বিষয়টা এরকম।

তার শাশুড়িকে প্রতিবেশী ধরেছে। তার ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে। সেই প্রতিবেশির শর্ত একটা। একটা নির্দিষ্ট জেলার মেয়ে হওয়া চলবে না। শাশুড়ির মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়, গাঁই গুই করে, কিছু বলতে পারেন না। কারন তিনি নিজেই সেই জেলার মানুষ।

আমরা হাসতে থাকি। কেউ কেউ বিড়ি ফুকায়। শুনলাম, ঢাকায় থাকলে দিনে এমনি এমনি ২৩টা বিড়ি খাওয়া হয়ে যায়। আর যারা ফুঁকায়, তাদের কয়টা বেশি হয় আরকি! আরও একটা গবেষণা বলছে, অবিড়ি খোরদের নাকি বেশি হারে ফুসফুসের রোগ হয়। এই খবর ছড়িয়ে গেলে বিড়ির মালিকদের পোয়া বারো অবস্থা হবে।

এবার আমি ঝেড়ে কাশি। ভাইলোগ, একবার হাইমচরে গিয়ে সেখানকার লোকেরা আমাদের যে ঘুরান্তি খাওয়াইছে। সারা জীবন লাগবে, সেটা ভুলতে। ঐ চরের জেলার লোকই বেশি খ্রাপ। আমি জানতাম না, সেই কলিগের বাড়িও ঐ জেলায়। লজ্জার শেষ নাই। সরাসরি মাফ চেয়ে দোয়া নিয়ে নিই।

৩.

কথার শুরুটা যেখান থেকে হয়েছিল, সেখানে ফিরি। বাইকে করে মোহাম্মদপুর ফিরছিলাম।

বাইক প্রধান উপদেষ্টার অফিসের সামনে থেকে ডানে ঢুকে গিয়ে আগারগাও প্লানিং কমিশনের ওখানে চলে আসে। সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠের পাশের সড়ক দিয়ে গিয়ে শের এ বাংলা মেডিকেলের ভিতরে প্রবেশ করে। এতে মিরপুর রোড ক্রস করে মোহাম্মদপুরে ঢুকতে সহজ হয়। মেডিকেলের গেটের সামনে একটা প্রাইভেট কার, বাইক আটকে গেছে। ঢাকা শহরে জ্যাম ডাল ভাত। সেই তুলনায় বেশ ভালোই এলাম। কিন্তু বাইক ভাই খুব অসন্তুষ্ট। কাকে যেন বকাবকি করছে। আমার মাথায় হেলমেট, কথা ভালভাবে শোনা যাচ্ছে না।

জিজ্ঞেস করলাম, ভাই খেপলেন কেন?

-দেখেন কাণ্ড, রাস্তা আটকায়ে উঠছে নামছে। অন্যরা জাহান্নামে গেলেও এদের হুশ থাকে না। সরকারি চাকরি বলে এদের চর্বি জমে গেছে। সব কয়টা হারামি।

-ভাই ঐ লোক যে সরকারি চাকরি করে, কিভাবে শিউর হইলেন? নাও তো হতে পারে। আমি যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করি।

-ঐ যে, গাড়িতে স্টিকার লাগানো, হাসপাতালের সরকারি ডাক্তার। আমাকে একটা স্টিকার দেখায়ে বলতে থাকেন।

আমি চুপ হয়ে যাই। কথা বাড়াই না। এর বেশি যুক্তি দেখালে যদি জিজ্ঞেস করে, আমিও কি তাদের দলের লোক!

তখন আমি দিন কয়েক আগের কথা। ঢাকায় গেছি কাজে। এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছিলাম মহাখালি। নাম যদিও মহাখালি, এটা ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। মানুষে মানুষে গিজগিজ করে। মহাখালী এসকেএস টাওয়ারে দুই বন্ধুতে আড্ডা দিই। বন্ধুর টেস্ট ভালো। ভালো কাবাব, স্টেক খাইয়েছে। কফি খেয়ে আরাম পেয়েছি। আড্ডা শেষে ভাড়া বাইকে করে মোহাম্মদপুর ফিরছিলাম। তখন সন্ধা রাতের কাছে দায়িত্ব দিয়ে বিদায় নিচ্ছে।

২.

আগের দিন সমিতির প্রোগ্রামের উসিলায় কলিগরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। বছরে এক দুইবার এরকম আড্ডার সুযোগ আসে। তাই কথার নদী নানান দিকে ছুটতে থাকে। একথা সে কথা, আকথা কুকথা চলতে থাকে। এক কলিগ তার শ্বশুরের জেলার মানুষের ক্যারিকেচার নিয়ে কথা উঠায়। ঘরে থাকা স্যাম্পল (ভাবি) দিয়ে যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতেও চান না, কারিগরি সমস্যা আছে।

এরকম আড্ডায় বিষয় সংক্রামক রোগের মত ছড়াতে থাকে। এমনি সময়ে বোম মারলেও যার পেট থেকে শব্দ বের হয়না, আড্ডায় সেও অন্যের কথার স্লটে ভাগ বসায়। অন্য একজন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বিষয়টা এরকম।

তার শাশুড়িকে প্রতিবেশী ধরেছে। তার ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে। সেই প্রতিবেশির শর্ত একটা। একটা নির্দিষ্ট জেলার মেয়ে হওয়া চলবে না। শাশুড়ির মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়, গাঁই গুই করে, কিছু বলতে পারেন না। কারন তিনি নিজেই সেই জেলার মানুষ।

আমরা হাসতে থাকি। কেউ কেউ বিড়ি ফুকায়। শুনলাম, ঢাকায় থাকলে দিনে এমনি এমনি ২৩টা বিড়ি খাওয়া হয়ে যায়। আর যারা ফুঁকায়, তাদের কয়টা বেশি হয় আরকি! আরও একটা গবেষণা বলছে, অবিড়ি খোরদের নাকি বেশি হারে ফুসফুসের রোগ হয়। এই খবর ছড়িয়ে গেলে বিড়ির মালিকদের পোয়া বারো অবস্থা হবে।

এবার আমি ঝেড়ে কাশি। ভাইলোগ, একবার হাইমচরে গিয়ে সেখানকার লোকেরা আমাদের যে ঘুরান্তি খাওয়াইছে। সারা জীবন লাগবে, সেটা ভুলতে। ঐ চরের জেলার লোকই বেশি খ্রাপ। আমি জানতাম না, সেই কলিগের বাড়িও ঐ জেলায়। লজ্জার শেষ নাই। সরাসরি মাফ চেয়ে দোয়া নিয়ে নিই।

৩.

কথার শুরুটা যেখান থেকে হয়েছিল, সেখানে ফিরি। বাইকে করে মোহাম্মদপুর ফিরছিলাম।

বাইক প্রধান উপদেষ্টার অফিসের সামনে থেকে ডানে ঢুকে গিয়ে আগারগাও প্লানিং কমিশনের ওখানে চলে আসে। সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠের পাশের সড়ক দিয়ে গিয়ে শের এ বাংলা মেডিকেলের ভিতরে প্রবেশ করে। এতে মিরপুর রোড ক্রস করে মোহাম্মদপুরে ঢুকতে সহজ হয়। মেডিকেলের গেটের সামনে একটা প্রাইভেট কার, বাইক আটকে গেছে। ঢাকা শহরে জ্যাম ডাল ভাত। সেই তুলনায় বেশ ভালোই এলাম। কিন্তু বাইক ভাই খুব অসন্তুষ্ট। কাকে যেন বকাবকি করছে। আমার মাথায় হেলমেট, কথা ভালভাবে শোনা যাচ্ছে না।

জিজ্ঞেস করলাম, ভাই খেপলেন কেন?

-দেখেন কাণ্ড, রাস্তা আটকায়ে উঠছে নামছে। অন্যরা জাহান্নামে গেলেও এদের হুশ থাকে না। সরকারি চাকরি বলে এদের চর্বি জমে গেছে। সব কয়টা হারামি।

-ভাই ঐ লোক যে সরকারি চাকরি করে, কিভাবে শিউর হইলেন? নাও তো হতে পারে। আমি যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করি।

-ঐ যে, গাড়িতে স্টিকার লাগানো, হাসপাতালের সরকারি ডাক্তার। আমাকে একটা স্টিকার দেখায়ে বলতে থাকেন।

আমি চুপ হয়ে যাই। কথা বাড়াই না। এর বেশি যুক্তি দেখালে যদি জিজ্ঞেস করে, আমিও কি তাদের দলের লোক!

তখন আমি কি উত্তর দিবো??

Comments

    Please login to post comment. Login