অধ্যায় ১: অভিযাত্রার সূচনা
রোদ্র চৌধুরী জানালার পাশে বসে দূরের নীলাভ মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে রইল। ‘নভোচারী-১২’ এখন পৃথিবী থেকে চার আলোকবর্ষ দূরের এক অজানা গ্রহের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেখানেই প্রাণের সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।
চার মাস আগে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। মহাকাশযানের তিন সদস্যের মধ্যে রোদ্র ছিল জীববিজ্ঞানী, ডঃ ইরা সেন ছিলেন পরিবেশ বিশ্লেষক, আর কমান্ডার বিকাশ রায় ছিলেন তাদের অভিযান দলের প্রধান।
"অবতরণের জন্য প্রস্তুত থাকো," বিকাশ কড়া গলায় বললেন। "গ্রহটির বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এখানে অক্সিজেন আছে, যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে সাবধান থাকতে হবে।"
যখন নভোযান ধীরে ধীরে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করল, তখনই চারপাশের সবুজাভ আলো তাদের অবাক করে দিল। মাটিতে নেমেই রোদ্র অনুভব করল, এখানকার গাছপালা পৃথিবীর মতো নয়—পাতাগুলো স্বচ্ছ, যেন আলো তাদের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তারা যখন ধীরে ধীরে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করছিল, তখনই এক রহস্যময় প্রাণী সামনে এসে দাঁড়াল। দেখতে অনেকটা মানুষের মতো, কিন্তু তার গায়ের রঙ নীলাভ, চোখ দুটি বড় বড়, আর ঠোঁট নেই। সে কিছু বলতে চাইছে, অথচ কোনো শব্দ নেই।
রোদ্র একটু এগিয়ে গিয়ে মৃদু স্বরে বলল, "আমরা তোমাদের ক্ষতি করতে আসিনি।"
প্রাণীটি স্থির তাকিয়ে থাকল, তারপর ইরা হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন, "ওরা আমাদের মন পড়তে পারছে!"
রোদ্র এক মুহূর্তের জন্য অনুভব করল, যেন তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কারও সামনে উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কি বন্ধুত্বপূর্ণ, নাকি এই যোগাযোগের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?
---
অধ্যায় ২: নীল সভ্যতার আহ্বান
বিকাশের শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। তিনি ধীরে ধীরে পেছাতে লাগলেন। "আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে!"
কিন্তু তখনই নীল জগতের প্রাণীগুলো তাদের চারপাশে এক অদৃশ্য বলয় সৃষ্টি করল। মনে হচ্ছিল, তারা কোনো শক্তি দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে, অথচ শরীরের ওপর কোনো শারীরিক বাঁধা অনুভূত হচ্ছিল না।
একটি মৃদু তরঙ্গ তাদের মাথার ভেতর প্রবাহিত হলো—
"তোমরা আমাদের অতিথি। আমাদের সঙ্গে চলো।"
তারা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলল নীল আলোতে ঘেরা এক বিশাল শহরের দিকে। শহরে প্রবেশ করার পর তাদের বিস্ময় আরও বাড়ল—স্ফটিকের তৈরি সুউচ্চ টাওয়ার, যার চারপাশ দিয়ে নীল আলোর তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে।
এক লম্বা, প্রাচীনদর্শন নীলমুখো প্রাণী তাদের স্বাগত জানাল।
"আমাদের সভ্যতা হাজার বছর ধরে বিকশিত হয়েছে," সে বলল। "কিন্তু আমরা এখন এক সংকটে আছি। আমাদের শক্তির উৎস নিঃশেষ হতে চলেছে, আর আমরা তোমাদের সাহায্য চাই।"
ইরা বিস্ময়ে বলল, "কিন্তু আমরা তো বিজ্ঞানী! আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?"
প্রাণীটি বলল, "তোমাদের পৃথিবীতে শক্তির এক বিশেষ রূপ আছে, যা আমাদের প্রয়োজন। যদি আমাদের সাহায্য করো, তাহলে আমাদের দুই জাতির মধ্যে এক নতুন সংযোগ স্থাপন হবে।"
রোদ্র এক মুহূর্ত চিন্তা করল, তারপর বলল, "আমরা সাহায্য করতে চাই, তবে আমাদের শর্ত আছে—আমরা চাই এই গ্রহের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে।"
প্রাণীটি মাথা নেড়ে বলল, "তাহলে এসো, তোমাদের এক বিস্ময়কর সত্যের সামনে নিয়ে যাই।"
---
অধ্যায় ৩: হারিয়ে যাওয়া শক্তির রহস্য
তারা একটি বিশাল হলঘরে প্রবেশ করল, যেখানে স্বচ্ছ স্ফটিকের দেয়ালে খোদিত ছিল তাদের অতীত। রোদ্র আর ইরা বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল।
"অনেক বছর আগে," প্রাণীটি বলতে লাগল, "আমরা প্রযুক্তির শিখরে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু আমরা ক্রমাগত শক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে নিজেদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলি। এখন আমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছে, তাই মানসিক শক্তি দিয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু পুরনো শক্তির উৎস পুনরুদ্ধারের উপায় খুঁজছি।"
বিকাশ চিন্তিত মুখে বলল, "তাহলে তোমরা আমাদের শক্তি ব্যবহার করে যদি আবার নিজেদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাও?"
প্রাণীটি শান্ত স্বরে বলল, "সেই সিদ্ধান্ত তোমাদের নিতে হবে। তোমরা কি আমাদের বিশ্বাস করতে পারো?"
রোদ্র একটু ভেবে বলল, "আমরা সাহায্য করতে পারি, তবে বিনিময়ে আমাদের কিছু শিখতে হবে। তোমাদের মানসিক শক্তি কীভাবে কাজ করে, সেটা জানতে চাই।"
প্রাণীটি মৃদু হাসল। "তাহলে তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। আমাদের শক্তির কেন্দ্রে নিয়ে যাব, যেখানে তোমরা জানতে পারবে কীভাবে মনস্তাত্ত্বিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।"
তারা একটি বিশাল গুহার দিকে এগিয়ে গেল। সেখানে বাতাসে এক অদ্ভুত শক্তির তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছিল।
"আমি কিছু অনুভব করছি!" ইরা বিস্ময়ে বলল। "আমার চিন্তাগুলো যেন আরও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে!"
প্রাচীন প্রাণীটি বলল, "এটাই আমাদের মূল শক্তি। যদি তোমরা মনস্তাত্ত্বিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো, তবে তোমাদের সভ্যতাও এক নতুন স্তরে পৌঁছাতে পারবে।"
রোদ্র, ইরা, এবং বিকাশ একে একে পরীক্ষায় অংশ নিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা অনুভব করল, তাদের চিন্তাগুলো বাস্তবতার ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
কিন্তু হঠাৎ বিকাশ চিৎকার করে উঠলেন, "আমাদের এখানে কেউ অনুসরণ করছে! আমরা একা নই!"
গুহার ছায়ার মধ্যে এক রহস্যময় অবয়ব দেখা গেল, যার চোখ দুটো যেন বিদ্যুতের মতো জ্বলছিল।
এক ঝলকে সেই অবয়ব সামনে এলো। এটি ছিল আরেকটি বুদ্ধিমান জাতি, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই শক্তির কেন্দ্রে লুকিয়ে ছিল।
তারা কি বন্ধুত্বপূর্ণ? নাকি লুকিয়ে আছে আরও বড় বিপদ?
অধ্যায় ৪: অন্ধকারের অভ্যন্তরে
রোদ্র, ইরা, এবং বিকাশ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। গুহার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা অবয়বটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হলো। তার গায়ের রঙ গাঢ় নীল, চোখদুটি আলোকিত, এবং শরীর লম্বাটে। তবে তার গঠন ছিল শহরের নীল-প্রাণীদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
রোদ্র ধীরে ধীরে বলল, "তুমি কে?"
প্রাণীটি কয়েক মুহূর্ত স্থির দাঁড়িয়ে রইল, তারপর টেলিপ্যাথির মাধ্যমে তার কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হলো, "আমি ভ্রাস। আমি সেই জাতির শেষ প্রতিনিধি, যাদের তোমরা এখানে দেখতে পাও না।"
বিকাশ সতর্ক দৃষ্টিতে বললেন, "তোমরা কি এখানকার নীল-প্রাণীদের শত্রু?"
ভ্রাস বলল, "শত্রু? না। বরং আমরা ছিলাম একসঙ্গে, একসময়ের সভ্যতার দুই দিক। কিন্তু তারা আমাদের বিস্মৃত করেছে। আমাদের শক্তি ছিল প্রযুক্তির ওপর, আর তাদের শক্তি ছিল মানসিক দক্ষতার ওপর। একসময় তারা আমাদের প্রযুক্তি পরিত্যাগ করে নিজেদের উন্নতির পথে হাঁটতে চায়।"
রোদ্র বিস্ময়ে বলল, "তাহলে তোমাদের মধ্যে বিভক্তি কেন হলো?"
ভ্রাস এক মুহূর্ত নীরব রইল, তারপর বলল, "তারা মনে করেছিল, প্রযুক্তি ধ্বংসের কারণ। কিন্তু তারা বোঝেনি, প্রযুক্তি ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। এখন তারা সংকটে পড়েছে, কারণ তারা শক্তির সব উৎস নিঃশেষ করে ফেলেছে। এখন তারা তোমাদের সাহায্য চাইছে, কিন্তু তারা তোমাদের সত্যি বলছে না।"
ইরা সন্দেহভরে বললেন, "তাহলে সত্যটা কী?"
ভ্রাস ধীরে ধীরে গুহার ভেতরে একদিকে ইশারা করল। সেখানে এক বিশাল ধাতব দরজা দেখা গেল, যা স্ফটিকের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে ছিল।
"এই দরজার পেছনে আছে সেই প্রযুক্তি, যা একসময় আমাদের সভ্যতাকে গড়ে তুলেছিল। যদি তোমরা সত্য জানতে চাও, তাহলে এই দরজার ওপারে যেতে হবে। কিন্তু সাবধান, কারণ এই সত্য শুধু তোমাদের মুক্ত করতে পারে না—এটি তোমাদের ধ্বংসও করতে পারে।"
রোদ্র, ইরা, এবং বিকাশ একে অপরের দিকে তাকাল।
বিকাশ ধীরে বললেন, "আমরা কি এই রহস্যের গভীরে যাব?"
রোদ্র চিন্তিত গলায় বলল, "আমরা যদি সত্য জানতে চাই, তাহলে আমাদের এগোতেই হবে।"
তারা ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে গেল...
---
অধ্যায় ৫: লুকানো ইতিহাস
দরজাটি বিশাল এবং ভারী, কিন্তু যখন রোদ্র তার সামনে দাঁড়াল, তখনই দরজার ওপর খোদিত কিছু অদ্ভুত প্রতীক জ্বলজ্বল করতে লাগল। মনে হচ্ছিল, এটি কোনো মানসিক শক্তির প্রতিক্রিয়া।
ইরা বিস্ময়ে বলল, "এটা কি আমাদের উপস্থিতি অনুভব করছে?"
ভ্রাস বলল, "এটি কেবল তাদের জন্যই খুলবে, যারা সত্য জানতে চায়।"
রোদ্র হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করতেই দরজাটি গম্ভীর শব্দে ধীরে ধীরে খুলে গেল। ভেতরে দেখা গেল এক বিশাল কক্ষ, যার দেয়াল জুড়ে ছিল জটিল যন্ত্রপাতি, বিশাল স্ফটিক-ড্রাইভ, এবং কিছু এমন বস্তু যা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা।
বিকাশ ফিসফিস করে বললেন, "এগুলো তো হাজার বছরের পুরোনো প্রযুক্তি!"
ভ্রাস বলল, "এটাই আমাদের হারিয়ে যাওয়া শক্তির কেন্দ্র।"
ইরা ধীরে ধীরে এক বিশাল স্বচ্ছ স্ফটিকের দিকে এগোলেন, যার ভেতরে কিছু নড়াচড়া করছিল। তিনি বললেন, "এটা কী?"
ভ্রাস গভীর স্বরে বলল, "এটি আমাদের সভ্যতার মস্তিষ্ক। এটি এমন এক শক্তি উৎপাদন করে, যা এই গ্রহের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু যখন নীল-প্রাণীরা এটি ব্যবহার বন্ধ করে দিল, তখন শক্তির অভাব ঘটতে লাগল।"
রোদ্র বলল, "তাহলে এখন এই শক্তি কি আবার সক্রিয় করা সম্ভব?"
ভ্রাস বলল, "হয়তো সম্ভব। কিন্তু একটা বিপদ আছে। যদি এটি সক্রিয় করা হয়, তাহলে হয়তো নীল-প্রাণীদের মানসিক শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে, আর তারা এটা মেনে নেবে না।"
বিকাশ বললেন, "তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আমরা কি এই শক্তি পুনরুদ্ধার করব, নাকি এই গ্রহকে তার বর্তমান অবস্থায় ছেড়ে দেব?"
---
অধ্যায় ৬: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
রোদ্র, ইরা, এবং বিকাশ গভীর ভাবনায় পড়ে গেল।
ইরা বলল, "আমরা যদি শক্তি পুনরুদ্ধার করি, তাহলে নীল-প্রাণীদের সভ্যতা বদলে যাবে। কিন্তু যদি না করি, তাহলে তারা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাবে।"
বিকাশ বলল, "কিন্তু তারা যদি আমাদের প্রতিরোধ করে? যদি তারা চায় না যে, আমরা এই শক্তি চালু করি?"
রোদ্র এক মুহূর্ত চুপ করে রইল, তারপর বলল, "আমরা যদি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসি? আমরা যদি তাদের বোঝাতে পারি, যে প্রযুক্তি ও মানসিক শক্তি একসঙ্গে থাকলেই কেবল টিকে থাকা সম্ভব?"
ভ্রাস বলল, "তারা কি তোমাদের কথা শুনবে?"
রোদ্র দৃঢ় গলায় বলল, "আমরা চেষ্টা করব।"
তারা শক্তির কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে নীল-প্রাণীদের প্রধানের সঙ্গে দেখা করল।
প্রধান নীল-প্রাণীটি গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, "তোমরা আমাদের শক্তির উৎস পেয়েছো, তাই না?"
রোদ্র বলল, "হ্যাঁ। এবং আমরা বিশ্বাস করি, তোমরা যদি প্রযুক্তি ও মানসিক শক্তিকে একসঙ্গে কাজে লাগাও, তাহলে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।"
প্রধান বলল, "তাহলে তোমরা কি আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসতে চাও?"
রোদ্র বলল, "আমরা এক শর্তে রাজি—আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে একটি জ্ঞান বিনিময় চুক্তি করতে হবে। আমরা তোমাদের শক্তি ফিরিয়ে দেব, আর তোমাদের মানসিক দক্ষতা আমাদের শিখতে হবে।"
প্রাণীটি এক মুহূর্ত ভাবল, তারপর বলল, "আমরা রাজি।"
---
অধ্যায় ৭: এক নতুন যুগের সূচনা
পরের কয়েক সপ্তাহে, পৃথিবীর নভোচারীরা নীল-প্রাণীদের হারানো শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করল। একই সঙ্গে, তারা নীল-প্রাণীদের কাছ থেকে মানসিক শক্তি ব্যবহার শেখার প্রক্রিয়া শুরু করল।
যখন নভোযান ‘নভোচারী-১২’ ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো, রোদ্র জানালার পাশে বসে দূরের নীলাভ আকাশের দিকে তাকাল।
"আমরা শুধু নতুন এক সভ্যতার সঙ্গে পরিচিত হইনি, বরং আমরা এক নতুন ভবিষ্যতের দ্বার খুলে দিয়েছি," সে মৃদু স্বরে বলল।
ইরা মাথা নেড়ে বলল, "এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এই শিক্ষা পৃথিবীতে নিয়ে গিয়ে কীভাবে কাজে লাগাব?"
বিকাশ বললেন, "সম্ভবত, এটাই আমাদের পরবর্তী অভিযানের বিষয়।"
নভোযান ধীরে ধীরে পৃথিবীর পথে ফিরতে শুরু করল, আর নীল জগতের সীমানা ধীরে ধীরে দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল।
(সমাপ্ত।)