আমি সেই নারী—
যার চোখের পাতায় রাত্রির কালো গোধূলি জমে,
যার অশ্রু নদীর ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়ে নিষ্পাপ আশায়।
আমি সেই নারী—
যার স্বপ্ন কেউ বাঁধতে চায় লোহার শিকলে,
তবু আমি বাতাসের মতন ছুটে যাই অনন্তের দিকে।
আমিই সেই নারী,
যার শরীরে পুরুষতন্ত্রের আগুন জ্বলে,
যার আত্মায় জন্ম নেয় এক এক করে
শত সহস্র দ্রৌপদী, শত সহস্র সীতা, শত সহস্র চণ্ডী।
আমার কপালে টিপ আঁকে রক্তের গল্প,
আমার শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে থাকে নীরব প্রতিবাদ,
আমার চরণে বাজে শৃঙ্খলিত ঘুঙুরের শব্দ,
তবুও আমি থামি না—
আমি চলি, আমি এগোই, আমি বিদ্রোহের নাম ধরে ডাক দিই।
আমি সেই মেয়ে—
যাকে আপনারা কাঁচের ঘরে সাজিয়ে রাখতে চান,
যাকে দেবী বানিয়ে পায়ের নিচে ঠাঁই দেন,
আবার অন্ধকার রাতে সেই আমাকেই
ভেঙে ফেলতে চান, ছুঁড়ে ফেলতে চান
উপেক্ষার ধুলোয়!
কিন্তু শোনো!
আমি আজ আর কেবলই কাঁদতে জানি না,
আমি আজ আর কেবলই সহ্য করতে জানি না,
আমার চোখের তারা আজ দাবানলের আলো ছড়ায়,
আমার হৃদয়ে আজ বজ্রের ক্রোধ জ্বলে ওঠে,
আমার কণ্ঠে আজ ঝড়ের গর্জন ধ্বনিত হয়!
আমি উঠে দাঁড়াবো,
আমি ঝলসে দেবো মিথ্যে সংস্কারের শেকল,
আমি গুড়িয়ে দেবো অন্যায়ের সব হাত,
আমি সৃষ্টির এক নতুন ছন্দে
নিজেকে রচনা করবো,
আমি হবো এক নতুন ইতিহাসের প্রথম উচ্চারণ—
আমিই সেই নারী !
১৫/০২/২৫ইং।
