ধূলির নিচে চাপা পড়ে আছে কিছু শব্দ,
অভিশপ্ত বীজের মতো—
বাতাস ছুঁয়ে যায়, অথচ অঙ্কুরিত হয় না।"
নদীর বুকে জলের রেখা—
নিষ্প্রাণ অভিশাপের ছায়া হয়ে ঘুরে ফেরে -
দিগন্তহীন, পথহীন—তবু অনন্ত যাত্রায়।

গাছেরা দাঁড়িয়ে থাকে—
শেকড়ে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসের ভার নিয়ে,
পাতার শিরায় শিরায় লুকায় দহন-অরূপ আগুন,
জ্বলে না কোনো দিন, তবু ছাই হয়ে ঝরে।
আকাশের গভীরে ঝুলে থাকে কুয়াশার এক টুকরো
অপরিচিত স্মৃতির ছায়া,
আলো গ্রাস করে, তবু নিজেই ঢেকে থাকে ছায়ার আড়ালে।
সময়ের ঘূর্ণিতে সব ছিন্নভিন্ন,
তবু স্থিরতার ছদ্মবেশ ধরে আছে পথের ধুলো।
একদিন, খুব নীরবে—
সব ছায়া গলে যাবে রোদের মায়াবী বিভ্রমে,
অস্তিত্বের শেষ নিঃশ্বাসে জেগে উঠবে অনন্ত শূন্যতা।
১১/২/২৫ ইং।