রাত গভীর হতে থাকল, তুষারঝড়ের তাণ্ডব আরও বেড়ে গেল। হোটেলের লবিতে সবাই জড়ো হয়ে বসে আছে, কারও মুখে কথা নেই। মৃতদেহটা তখনো দ্বিতীয় তলার ঘরে পড়ে আছে।
হঠাৎ করেই একজন বলল, “আমরা কি জানি, মৃত মানুষটা আসলে কে? সে এখানে কী করতে এসেছিল?”
মিস্টার রহমান কাঁপা গলায় বললেন, “ওর নাম ইমরান। এক সপ্তাহ আগে এখানে উঠেছিল। নিজেকে পর্যটক বলেছিল, কিন্তু দিনভর ঘরেই থাকত। রাতে প্রায়শই ফোনে কারও সাথে ঝগড়া করত।”
একজন অতিথি ফিসফিস করে বলল, “হয়তো সেই শত্রু ওকে খুন করেছে।”
হঠাৎ ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল, অন্ধকারে ঢেকে গেল পুরো হোটেল। মোমবাতি জ্বালিয়ে সবাই আবার একসাথে হল।
মিস্টার রহমান বললেন, “সবাই সাবধান! এখানে যে খুনি লুকিয়ে আছে, সে এখন আমাদের মধ্যেই আছে!”
একজন নার্ভাস হয়ে বলল, “আমাদের কি আলাদা হয়ে ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত?”
অন্যজন তাড়াতাড়ি প্রত্যুত্তর দিল, “না! একা হলে আরও বিপদ! আমরা একসাথে থাকব।”
অন্ধকারের মাঝে মোমবাতির আলোয় সবার মুখ অদ্ভুত দেখাচ্ছে, যেন প্রত্যেকেই কিছু লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু কে সত্যি? কে মিথ্যে বলছে?
এরই মাঝে হঠাৎ কারও পায়ের আওয়াজ... কেউ একজন অন্ধকারে লুকিয়ে আছে!
রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে...
171
View