Posts

উপন্যাস

হাহাকার [চ্যাপ্টার ৬]

February 20, 2025

আব্দুল কুদ্দুস বিপ্লব

8
View

স্বাধীন ও আগমনি আগের কথামত রেশমি পার্কে গিয়েছে। আজ বিকেলে এসেছে ওরা। বিকেলে জুটির অভাব নেই রেশমিতে। যারযার মত ঘুরছে কেউ কাউকে ডিস্টার্ব করছে না।স্বাধীন ও আগমনির মধ্যে কোন জড়তা নেই আজ। ছোট একটি গাছের ছায়ায় ওরা বসছে। বাদাম চিবুচ্ছে,হাসছে, লুকিয়ে লুকিয়ে একে অপরকে দেখছে চোর চোখে, একদম যাইচ্ছে তাই ভাবে। তবুও সলজ্জ ওড়নার আঁচল বারবার উড়ছে, ঢেকে দিচ্ছে শুভ্র অঙ্গের অনুরাগে। ওরা দুজনেই স্কুল থেকে এসেছে। খিধেও লেগেছে ভীষণ। মনের ক্ষুধার কাছে দেহের ক্ষুধা হার মেনেছে। কখন চার চোখের মিলন হবে। রাত জাগা ভুখা আশা কখন তৃপ্ত হবে? চোখের কোনে, ইচ্ছেয়, বাসনায় দগদগে ক্ষুধা কখন নিবৃত হবে প্রিয় সান্নিধ্যে। অনেকক্ষণ কাটলো ঘনিষট-অন্তরঙ্গ সান্নিধ্যে প্রসাদ ময়তায়। তারা হোটেলে গেল খেতে। পর্দা টাঙানো  ঘেরাও করা ওদের বসার জায়গা। বাইরের কেঊ ওদের দেখতে পাচ্ছে না। ইলিশ মাছ দিয়ে। মনি স্বাধীনের পাতের মাছের কাটা বেছে দিচ্ছ,মাঝে মাঝে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিচ্ছে।খাওয়ার ফাঁকে স্বাধীন চোর চোখে দেখে নিচ্ছে মণির ব্লাঊজে র ফাঁকের ব্রেসিয়ারের উচ্ছিষ্ট দুগধধবল।  স্বাধীনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝিম ধরে ওঠছে। মণির দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে স্বাধীনের সদ্যউঠা  শশ্রুর ডগায়- BACKGROUND-এ ,রোমাঞ্চিত হচ্ছে ও শিহরিত হচ্ছে।   খাওয়া শেষে বিল দিয়ে তারা বেড়িয়ে এলো । তারা পার্কে আগের জায়গায় বসে পরল,দুজনেই আনন্দিত  ,উল্লসিত স্বেচ্ছা–আয়োজিত, স্বেচ্ছা–সংগঠিত।

----দেখ মনি, পৃথিবী কত সুন্দর

----তাই ঐ দেখ,পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে।আমার কি মনে হয় জান

----কি 

----আমরা যদি ঐ আকাশে উড়ে বেড়াতে পারতাম,আকাশের নীল ছুঁয়ে ছুঁয়ে

---তা হলে কি হতো?  তুমি আমি সারা দিন উড়ে বেড়াতাম দূর দিগন্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেখানে খুশী চলে যেতাম ।

----আমরা তা অবিশ্যি পারবো। তুমি আমার হলে, আমি সব পারবো সাগর সেচে মানিক আনতে,আকাশের নীল এনে তোমার গায়ে মেখে দিতে,মংগল গ্রহ হতে নূতন তথ্য এনে সবায় কে চমকে দিতে ইত্যাদি ইত্যাদি ,সব সব কিছুই পারব---শর্ত একটাই তুমি যদি আমার হও।

----আমি তোঁ তোমারই।

----হ্যা,তুমি তোঁ আমারই। মনি দেখ,ঐ যে পাখিটা, একা একা অবসাদগ্রস্তেরমত উড়ে চলছে, আমার মনে হয় ও ওরজোড় পাখি টাকে হারিয়ে ফেলেছে কোথাও। তাই মনের দুঃখে ক্লান্ত পাখায় উড়ে যাছে নীড় হীন কোন অজানায়।  নিজের পাখনায় নিজের ভঁর কুলাচ্ছে না। পাখিটির মত আমি যদি হারিয়ে ফেলি তোমাকে, মনি?

----না ,স্বাধীন আজকে কোন নেগেতিভ চিন্তা করনা না, কোন দুঃখের ঘটনার অবতারনা কর না, প্লিজ? 

----পজেটীভ, নিগেটিভ চিন্তা দুটোই সাফল্যের জন্য প্রয়োজন। কথার ফুলল ঝরল মালা গাঁথা হল না, তাহলে কি লাভ?

---- হবে, হবে সব হবে, আজ কোন দুঃখের কথা নয়, আমি কোন দুখের কথা সইতে পারবো না।আজ শুধু আনন্দ আর উল্লাস করবো। মনি বলল। 

----স্বাধীন, আগমনিকে আরও কাছে টেনে এনে তার কোলে বসাল । হাতে হাঁতে দুটি হৃদয়ের খবর  সম্প্রচারিত হতে লাগলো অন্তরঙ্গ স্পন্দনে। মনের আকাশে উড়ে চলল দুটি কপোত কপোতী ভালবাসার পাখনায় যতসব দুঃখ বেদনা ঝেড়ে ফেলে।বিশ্ব ব্রম্মাণ্ড আকাশের নীল দিয়ে ওদের বরন করে নিল। দুজনের হাত দুজনের, দুজনের গা দুজনের গায়ে নেতানো অকুতোভয়ে। কি ভাবছ? স্বাধীন জিজ্ঞেস করলো ।

----চুপ, ডিস্টার্ব করবে না, অনুভব করতে দাও। আর একটু পর একজন আর একজনকে ফূল দিল, মিষ্টি খেল, খাওয়াল,মুখে তৃপ্তির হাঁসি । দুজনের চোখে ভালবাসার অর্ঘ্য, হৃদয় বীণায় ঝংকৃত হল এক অপার্থিব সুরসুধা-অনুভুতির নির্যাস সুখানুভব।                                                                                                                                                                               
এক অভুতপূর্ব আনন্দজমকালো আবেশে। চুম্বন বিনিময় হল। তাঁরা দুজনের কাছে দুজনে বাঁধা পরে গেল বিনে সুতোর মালায়। কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে না—পৃথিবীর কোন শক্তিই তাদের পৃথক করতে পাড়বে না-- দুটি okকিশোর কিশোরী মনের দুর্লঙ্ঘ্য প্রতিজ্ঞা, দুর্জয় আশা, অপরাজেয় গন্তব্য। 

এস, এস, সি, পরীক্ষা সামনে। স্বাধীন ও মনি খূব মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করছে। ওরা দুজনেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ওদের ভাল রেজাল্ট করতে হবে। মাঝে মধ্যে মোবাইলে আলাপ করে , রেশমিতে যেয়ে তাদের মনোবল RENEW বা নবায়ন করে নেয়। তারা মনে করে জীবনের কাছে তাদের অনেক পায়না, সব পাওনাই আদায় করে নিতে হবে কড়ায় গণ্ডায়।কখনও কল্পনায় হারিয়ে যাচ্ছে। কল্পনায় অবগাহন করে তারা ক্লান্তি, মলিনতা দুয়ে জীবন্ত হচ্ছে। তারা দুজনেই দুজনের অনুপ্রেরণা--- দুজনের মৃতসঞ্জীবনী সুধা ।তাঁরা তাদের মধ্যে খুঁজে পাচ্ছে জীবন-সফলকামের ব্যাকরণ, জীবন কাব্যের ভাব সম্প্রসারণ। জীবন একটি ছবি আকার ক্যানভাস, এটাকে রংগিন করে ছবি একে ভরাট করে তুলতে হবে নিজেদের। সামান্য কিছু হলেও এবং সামান্য কাজ করলেও তারা পরস্পর পরামর্শ করে করে। তারা স্থানগত ভাবে পৃথকভাবে অবস্থান করলেও অন্তরগতভাবে এক অভিন্ন---দুজনের মনের নোঙ্গর এক বিন্দুতে। তাঁরা গোপনীয়তা রক্ষা করে সাবধানে চলে। তাই তাদের সম্পর্কের কথা কেউ জানে না, স্কুলেও সমােজও তারা সদা সতর্ক। তাঁরা তাদের মাঝে একাত্ম---অভেদাত্ম। তাঁরা বাঁধা বন্ধনহীন দুরন্ত  উদ্দাম বলাকা।  স্বপ্নচারী কিন্তু নিশিচত okবাস্তব বুনিয়াতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

স্বাধীনের বড় ভাই রবিন মেডিকেলে পড়ে।মেধাবী ছাত্র। ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিশীল ডাক্তার। সে বন্ধু বৎসল ও উদার প্রকৃতির ছেলে। তার বাবা নিম্ন মধ্যবিত্ত, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি বি,এ, তার স্ত্রী আই,এ, গৃহিনী। এঁদেরেই সন্তান আমাদের স্বাধীন ও রবিন। স্বাধীনের বাবা ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। এখন ভাইয়ে ভাইয়ে পৃথক, তাই নিম্ন মধ্যবিত্ত। দুই ছেলেকে কষ্ট করেই পড়ার খরচ চালান। স্বাধীন হাই স্কুলে পড়লেও নিজের এলাকায় ভাল হাইস্কুল না থাকায় তিনি বর্তমান স্কুলে পড়ান। লজিং পাওয়া গেলেও তিনি লজিং থাকা পছন্দ করেন না। তিনি মনে করেন লজিং রেখে পড়ালে ছেলে মেয়ের স্বাধীনতা থাকে ,দাস মনোবৃত্তির  সৃষটি হয়। তাই স্বাধীনকে  বোর্ডিঙে রেখে পড়ান। ব্যক্তি হিসেবে এবং রবিন  ও   স্বাধীনের বাবা হিসেবে শিক্ষিত অশিক্ষিত স্ব মহলেই তিনি সমাদৃত।তিনি বিদ্যানুরাগি। তার কাছে বিদ্বান লকের সম্মানই আলাদা। অনেক কষ্ট করে সংসার চালান।কিন্তু জীবন এভাবে চলে না। তার পরও মনেkপ্রবোধ মানেন, ছেলেরা বের হয়ে আসলেই তার দুঃখ দূর হবে এবং পরিবারের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। 

 এস, এস ,সি, পরীক্ষা খূব কাছে। তাই পরীক্ষার্থীদের জন্য স্কুলবন্ধ ।বিশেষ দরকার হলে যে কোন পরীক্ষার্থী স্কুলে এসে সমস্যা সমাধান করে নিয়ে যাবে। স্বাধীন ও আগমনির প্রতিদিন দেখা হয়না। আগামি  রোঁববার বিকেলে তাঁরা রেশমিতে যাবে। অনেক প্রতীক্ষার পর রোববার আসছে। প্রতীক্ষার প্রহর যেন অনেক বড় নির্ঘুম রাত।স্বাধীন স্কুল বোর্ডিং থেকে এবং আগমনী বাড়ি থেকে পার্কে যাবে বিকেলে। কিন্তু বিকেল সহজে হচ্ছে না।  নানা ভা তরঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছ, দুটি অপেক্ষা কাতর মন প্রহর গুনছে।আগমনীর ভাবনা প্রবাহ---

--তোমার হাতে হাত রেখে হারিয়ে যেতে চাই কোন অজানায়

এখনও আমি পাচ্ছি তোমার হৃদের অমৃত সুবাস।

 দুজনের হৃদয়ে অনুরনিত হচ্ছে-----

আমি দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট 

তোমার পবিত্র হাঁসির দ্যুতি

অনুভবে অমৃত সুবাস ।

ভেসে আসছে তোমার হৃদয়ের

ভালবাসার নির্যাস।

আস্থির অপেক্ষা স্বাধীন কেও আলোড়িত করছে, অশরীরী ভালবাসার ঘ্রানে তাকে আমদিত ও আহলাদিত 

করছে---

তোমার হৃদয়ের গহীন হতে

ভালবাসার গন্ধ আসছে

তোমার রংগিন ভুবন পুস্পধাম থেকে

প্রস্ফুটিত অমৃত সুবাস না কুমারী নিশ্বাস?

দুটি হৃদয় দুটি হৃদয়ে লীন

তাই দুজনের একটিই গন্ধ নির্গত হচ্ছ নিঃশ্বাসে –প্রশ্বাসে

হৃদয়ে হৃদয়ে মহা মিলন

যুগল নয়নের সাথে যুগল নয়ন।  

কাঙখিত ক্ষণে দুটি আঁখি নির্ধারিত স্থানে মিলিত হল মিলনযজ্ঞে। আহতি হল দুটি হৃদয়ের ভালবাসা, তৃষ্ণার্ত চোখের সাগরে। মহা মিলনের মহাতৃপ্তি অভিব্যক্ত তাদের মুখ-অবয়বে।দুজনেই তাঁরা সামনা সামনি বসলো। দুজনের চোখে দুজনের চোখ, সুধা ঢালাঢালি চলছে। আগমনী আরও ক্লোজড হয়ে বসলো। স্বাধীন তাকে বুকে টেনে নিল। জোরে চাপ দিয়ে সমগ্র শরীর শরীরের সাথে মিশিয়ে ফেলল।স্বাধীন মনির পিট সহ বিভিন্ন জায়গায় হাতরিয়ে আদর করতে লাগলো। মনিও নিজেকে মেলে ধরলও। সেও স্বাধীনের পিটে হাত বুলাতে লাগলো। দুজনে অনেকটা বেপরোয়া ভাবে চুমু খেতে লাগলো। মনির গায়ে স্বাধীনের অস্থির-চঞ্চল হাত।

--লাগবে ঝাল মুড়ি?

তাঁরা দুজনেই থতমত খুব তাড়া তাড়ি নিজেদের সামলে নিল।স্বাধীন দশ টাকার মুড়ি নিয়ে মুড়িওয়ালাকে বিদেয় করলো। মনি ওড়না, ব্রা ও ব্লাউজ ঠিক করতে লাগলো ত্রস্ত হাতে। স্বাধীন একটি টিসুতে মুখ হাত মুচে আরেকটি মনিকে দিল। স্বাধীন মনির ভি গলার ব্লাউজের ফাগ দিয়ে শুভ্র লহরির উৎস মুলের দিকে তাকালে তাকে আলতো করে থাপ্পর  দিয়ে মনি বলে---

---আমার লজ্জা করে না?

---করলোই বা? 

---ইস, এখনও দুজনের ঠোঁট থর থর, বুক দুরু দুরু করছে 

---  মুরিওয়ালারাও সময় বুঝে না।আর একটু পরে এলে কি হত,মজা লয়, স্বাধীন বলল।

----নিবে না? মুরিওয়ালা পুরুষ না,তোঁমাদের স্বজাতি না? 

---সব স্দোষ পুরুষ মানুসের,তাও যদি পুরুষ ছাড়া চলতো ।

----চ ল বে গো, চলবে।

----কেমনে? সমকামী ভাবে?

----এত কিছু বুঝি না।

----অত কিছু বুঝ,এত কিছু বুঝ না ? তোমার পরীক্ষার preparation কেমন?

----ভালই, মনি বলল।

----তোমার?

----হয়েছে একরকম

--এক রকম হলে তোঁ হবে না,ভাল, অনেক ভাল হতেহবে। কি কর তুমি?

----তোমাকে ভাবি।

---- আমাকেই ভাব, আর সবজি খেতই নিড়াও পরীক্ষা খারাপ হলে খবর আছে?

----আমি কি অন্য কে ভাবি? আমি তো তোমাকে ভাবি, তোমাকে সাঘি তাই বলে preparation ভাল হবে না?

----হবে প্রিয়া,হবে।তুমি দুশিন্তা কর না। আমরা অনেক ভাল পরীক্ষা দিব,মনি।

---- নিশ্চয়ই ,আমার মাঝে মাঝে অনেক ভয় হয়, স্বাধীন।

----কেন?

---- তোমাকে যদি হারাই, মনি বলল।

---- তুমি না বললে আজ কোন অলুখুনে কথা না বলতে।আমি চির দিনই তোমার থকবো লক্ষীটি ।

----তোমাকে যদি উড়িয়ে নেয় কাল বৈশাখীর কোন ঝড়ে?

----সাইক্লোন, টর্নেডো, টাইফুন কোন কিছুই আমাকে উড়িয়ে নিতে পারবেনা, মনি

----তোঁমার আমার ভালবাসা যদি তোমার পরিবার মেনে না নেয়?

----দেখ মনি, জীবন আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষমতাও আমার ।সব চেয়ে বড়, তোমার আমার ভালবাসা, এই ভাল বাসার জয় অনিবার্য । এই ভালবাসা রক্তাক্ত করে এমন শক্তি পৃথিবীতে নেই।

----হ্যা সিদ্ধান্তই  আসল। আর এই সিদ্ধাত্ন নিতেই আমাদের অপারগতা। আগমনী বলল।

----আমরা দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নেব।

---তুমি যদি আমার পাশে থাক তাহলে কোন অপশক্তি, পরাশক্তি, কোনশক্তিই আমাদের আলাদা করতে পারবে না। স্বাধীন বল, তুমি আমার পাশে থাকবে?

----স্বাধীন, আমি তোমার পাশে আছি, পাশে থাকব

----আর তুমি যদি আমার না হও,তাহলে ঐ নিঃসঙ্গ অবসাদগ্রস্ত পাখির মত আমার অবস্থা হবে।

----আমি তোমার পাশে থাকবো এই কথাটির উপর বিশ্বাস রাখ,স্বাধীন।তুমি ছাড়া আমার কাছে আর কিছু নেই। তুমিহীন পৃথিবীতে তোমার মনি বেচে থাকবে না। সারা পৃথিবী লয় হয়ে গেলেও আমি তোমার পাশে আছি,থাকব। এর চেয়ে বড় কিছু বলার কিছু নেই আমার,স্বাধীন।আবার পুত পবিত্র মনে দুজন দুজনকে   বুকে জড়িয়ে ধরল। চেহারায় আলোর জ্যোতিঃ, চোখে জল।তারা পরস্পরকে চুমু খেল।দুজনেই পলকহীন দৃষ্টিতে দুজনের দিকে চেয়ে রইলো। 

---- আমি তোমায় ভালবাসি, মনি

---- আমি তোমায় ভালবাসি ,স্বাধীন

----দেখ, পশ্চিমের আকাশ কত লাল, ঐ গাছের পাতাগুলো কত সবুজ, ফুল গুলো কত জীবন্ত, হাসছে। মনি বলল।

---হূ, আমাদের হৃদয়ের লাল ও তারুণ্যের সবুজ যুক্ত হয়েছে, তাই। ঐ দেখ মনি সমগ্র প্রকৃতি আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। এসো মনি, এই শূভক্ষণে আমরা কবিতাটি পড়ি---

মুমূর্ষু মোহনায় আমরা আনবো উত্তাল তারুণ্যের উজান

প্রতিকূলতার ঢেউয়ে ঢেউয়ে আমরা রচিব জীবন অভিসার 

অন্ধকার কুয়াশাভেদে বুনিব অস্তিত্বের বর্ণমালা 

হিম শীতল মৃত্যুর গাঁ ঘেঁষে আমরা ফলাব স্বপ্নের শতদল

আমরা----

মায়ের চোখের বাঁচাল অনুভূতির সোহাগ

বাবার লাঙ্গুলে শকত সজীব জীবন্ত হাত

ভাইয়ের বোনের কলমের ডগায় প্রতিভা সৃজন

দম্পতির প্রেম ব্যাকুলতায় নবপ্রানের সঞ্চার

মুগধই চোখে চেয়ে চেয়ে থাকা প্রেমিকার পবিত্র অংগিকার

সবুজের সোহাগে ঘেরা শব্দভজি উতকৃরন ধ্যান 

আমরা কখনো দুর্দান্ত বিদ্রোহ পদ্মা

 আমরা কখনো প্রশান্ত নারী যমুনা

অসত্যের কবর নির্মাণে আমরা হালাকূ–তৈমূর-চেঙ্গিস-হিটলার

যুগে যুগে আমরা হাঁসি মূখে ফাঁসি মঞ্চে ক্ষুদিরাম । 

তারপর স্বাধীন ও আগমনি মিষ্টি খেয়ে, খাইয়ে যার যার গন্তব্যের দিকে রওনা হল, বার বার ফিরে ফিরে তাকাল।চোখের পানিতে প্রানের আরতি ঝরে পড়লো।

Comments

    Please login to post comment. Login