অধ্যায় ১: সূচনা
নীলাচল গ্রামের আকাশটা ছিল যেন সবসময় নীল, আর সেই নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা কুয়াশা ঢাকা পাহাড়গুলোর বুক চিরে বয়ে যেত এক সরু নদী। সেই নদীর তীরে এক ছোট্ট কুঁড়েঘরে থাকত নীল।
নীল ছিল নিঃসঙ্গ, কিন্তু প্রকৃতি ছিল তার পরম সঙ্গী। পাখির ডাক, নদীর কলকল ধ্বনি, বাতাসের শিস—সব মিলিয়ে তার জীবনের একমাত্র সঙ্গীত। সে গল্প লিখত, নীল কাগজে। কেননা, সে বিশ্বাস করত, নীল রঙেই স্বপ্ন আঁকা যায়।
নীলের বাবা-মা তাকে ছোটবেলায় ছেড়ে চলে গিয়েছিল, কেউ জানত না কোথায়। বৃদ্ধা ঠাকুমার সাথেই সে বড় হয়েছে, কিন্তু তিনিও এক ঝড়ের রাতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তারপর থেকে নীল ছিল একা—একা, কিন্তু তবুও সে কষ্ট পেত না, কারণ তার পৃথিবী ছিল শব্দ আর কল্পনায় ভরা।
একদিন হঠাৎ করেই তার জীবনে এলো একটি অদ্ভুত ঘটনা।
অধ্যায় ২: অচেনা চিঠি
একদিন বিকেলে নদীর ধারে বসে যখন নীল তার খাতা আর কলম নিয়ে গল্প লিখছিল, তখন এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল। বাতাস হঠাৎ ভারী হয়ে উঠল, আর নীল দেখল, তার সামনে নদীর ওপার থেকে এক কাগজ উড়ে এসে পড়ল।
নীল কাগজটি হাতে নিল। কাগজটা ছিল পুরনো, তার গায়ে নীল কালি দিয়ে লেখা:
"নীল, তুমি কি জানো তোমার লেখা একদিন ইতিহাস হবে?"
এই লেখাটি পড়ে নীল চমকে উঠল। কে তাকে এই চিঠি পাঠালো?
অধ্যায় ৩: অজানা পথচলা
নীল চিঠির উত্তর দিতে চাইল, কিন্তু সে জানত না কাকে দেবে। পরদিন আবার নদীর ধারে গেল সে। আর আশ্চর্যের বিষয়, আবার এক চিঠি উড়ে এসে পড়ল তার হাতে।
"নীল, যদি সত্যিই জানতে চাও, তাহলে কাল রাত বারোটায় পাহাড়ের পায়ের কাছে এসো।"
নীল দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল। সে কি যাবে? না কি এটাকে এক রহস্যময় খেলা বলে ভুলে যাবে?
কিন্তু কৌতূহল তার মনকে জাগিয়ে তুলল।
অধ্যায় ৪: রহস্যের দরজা
সেই রাত বারোটায়, নীল পাহাড়ের পায়ের কাছে পৌঁছালো। চারিদিকে ছিল নিস্তব্ধতা। কেবল পাতার মর্মর ধ্বনি আর দূরের ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
তখনই হঠাৎ, মাটির নিচ থেকে যেন আলো বের হতে শুরু করল!
নীল অবাক হয়ে দেখল, পাহাড়ের গায়ে একটি দরজা। সেই দরজায় ছিল একটি নীল রঙের প্রতীক।
দরজাটি হঠাৎ নিজে থেকেই খুলে গেল, আর নীল এক অন্য জগতে প্রবেশ করল…
(চলবে…)