শহরের ব্যস্ততম এলাকা গুলশান-২ তখন প্রায় বারোটা। রাস্তার লাইটগুলো জ্বলজ্বল করছে, কিন্তু গলির ভেতরকার অন্ধকার যেন আরও ঘন হয়ে উঠছে। এমন সময়, এক যুবক দ্রুত পায়ে হাঁটছিলেন। তার নাম রায়হান ফারুক।
রায়হান একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা, বেশ কিছুদিন ধরে একটি অদ্ভুত ঘটনা তদন্ত করছেন। শহরের বিভিন্ন নামকরা ব্যবসায়ী হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি ঘটনার পেছনে একটি মিল রয়েছে— নিখোঁজ ব্যক্তিরা ঘটনার আগে “ছায়ামানব” নামে এক রহস্যময় ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু কে এই ছায়ামানব?
আজ রাতেই তিনি তার সর্বশেষ সূত্রের খুঁজে বেরিয়েছিলেন। তার হাতে একটি মাত্র নাম — তানভীর রহমান। তিনদিন আগে নিখোঁজ হওয়া এই ব্যবসায়ী যাওয়ার আগে তার স্ত্রীকে বলেছিলেন যে তিনি ছায়ামানবের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।
রায়হান অনুসন্ধান করতে করতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালেন। রাতে নীরবতা আরো গা ছমছমে লাগছিল। হঠাৎই পাশের অন্ধকার গলি থেকে শোনা গেল চাপা গলার ফিসফিসানি।
তিনি দ্রুত টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে গেলেন, কিন্তু ঠিক তখনই পেছন থেকে এক শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন।
চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়াতেই দেখলেন— এক লম্বা, কালো পোশাক পরা লোক দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখ পুরোপুরি ঢেকে রাখা, শুধু দুটো তীক্ষ্ণ চোখ দেখা যাচ্ছে। সেই চোখ দুটো এতটাই ঠান্ডা যে রায়হানের শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত নেমে গেল।
লোকটি ধীর কণ্ঠে বললো, “তুমি যা খুঁজছো, তা পেলে কি বাঁচাতে পারবে?”
রায়হান বুঝতে পারলো, সে ছায়ামানবের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তার আসল পরিচয় কী? নিখোঁজ ব্যবসায়ীদের সাথে তার সম্পর্কই বা কী? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— এই রাতে শেষে রায়হান কি আর বেঁচে থাকবে?
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : পরবর্তী পর্বে জানা যাবে আরো চাঞ্চল্যকর সত্য…….)