
গ্রামের পুরোহিত শহরে এলো,
তার ঝোলায় ছিল কিছু শুকনো মন্ত্র,
কপালে জ্বলছিল অভাবের তৃতীয় নয়ন,
যা সত্য দেখলেই ছাই হয়ে যেত।
শহর তখন এক ছিন্নভিন্ন তালপাতার শাস্ত্র,
যার প্রতিটি পাতায় অভাবের শ্লোক লেখা,
ক্ষুধার অক্ষরে, অশান্তির বিরামচিহ্নে,
আর প্রতিটি অলিতে ছিল এক-একটি
ভুল ঈশ্বরের ছাপ।
পুরোহিত দাঁড়িয়ে রইলেন—
তার চোখে গতকালের শুকনো নদী।
তার জিহ্বায় অতীতের পাণ্ডুলিপি,
কিন্তু শহর তো এক কাচের পুঁথি!
এখানে সত্য নিজেই তার প্রতিবিম্বে ভয় পায়,
আর মিথ্যে ঈশ্বরের কপালে চন্দনের টিপ হয়ে ওঠে।
সে রাতে,
আমি নীলচে বোতল ছুঁয়ে যতবার সত্য বলেছি,
ঠিক ততবার শহরের প্রার্থনাগৃহে—
একটি ধর্মগ্রন্থ শপথ নিয়ে মিথ্যে বলেছে মানুষ।
অভাব?
সে এখন পুরোহিতের নয়,
সে এখন এক উল্টো গঙ্গা,
যেখানে হাত ধুলেই বিশ্বাস মুছে যায়!
-মোঃ আব্দুল আউয়াল।
২৬/০২/২৫