আমার যখন পনেরো বছর বয়স, তখন আমার ছোট বোন মারা যায়। বেশ হঠাৎই ঘটেছিল ব্যাপারটা। তার বয়স তখন বারো এবং সে জুনিয়র হাইস্কুলে প্রথম বর্ষে পড়ছিল। জন্মগতভাবেই সে হৃৎপিণ্ডের জটিলতায় ভুগছিল, তবে সর্বশেষ সার্জারির পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষের দিক থেকে তার ভেতরে আর সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আমাদের পরিবার ক্ষীণ একটা আশায় বুক বেঁধে পুনরায় আশ্বস্ত হয়েছিল যে, অযাচিত কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই হয়তো সে বাকি জীবনটা কাটাতে পারবে। তবে, সে বছরের মে মাস থেকে তার হৃৎস্পন্দন পুনরায় অস্বাভাবিক হতে থাকে। বিশেষত যখন সে শুয়ে থাকত তখন ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি মারাত্মক আকার ধারণ করত। কয়েকটি রাত সে নিদ্রাহীনতায় ভুগেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে, যত ধরনের পরীক্ষা করা হোক না কেন, ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থার কোনো বিচ্যুতি বা পরিবর্তন চিহ্নিত করতে পারেননি। আপাতদৃষ্টিতে অপারেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে গিয়েছিল এবং এ কারণে তারা হতবাক হয়ে পড়েছিলেন।